গতকাল চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এদিন জাতিসংঘ ও তুরস্ক বলেছে, চুক্তিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠিক কত দিন বাড়ানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি তারা। ইউক্রেন বলছে, ১২০ দিনের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়া শুধু ৬০ দিনের জন্য চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করতে রাজি হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববাজারে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য এবং সারের প্রসারের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি দ্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামের চুক্তিটি বিশ্বের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহকারী দেশ। রাশিয়া শীর্ষস্থানীয় সার রপ্তানিকারক দেশও। ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মিকোলা সোলস্কি গতকাল বলেন, জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মসূচির জন্য তাঁর দেশ প্রায় ৫ লাখ টন গম সরবরাহ করেছে। কৃষ্ণ সাগর রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরও ১২০ দিন বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বকে ক্ষুধার হাত থেকে রক্ষা করার একটি সুযোগ এটি।
কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির জন্য ইউক্রেনকে সুযোগ দিতে রাশিয়াকে রাজি করানোর জন্য গত বছরের জুলাইয়ে আরও একটি তিন বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তির আওতায় রাশিয়াকে খাদ্য ও সার রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘ।
ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির খাদ্য এবং সার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও মস্কো বলছে, লেনদেন, সরঞ্জাম ও বিমা শিল্পের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ থাকায়, তা চালানের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত শস্য চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। মূলত ভুট্টা ও গম রপ্তানি করা হয়েছে। এসব রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যস্থল হলো: চীন, ইতালি, স্পেন, তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডস।