রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বেড়েছে পাল্টাপাল্টি হামলা

উত্তর ও মধ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার ছোড়া চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন।

নরওয়ের প্রশিক্ষকের অধীনে ইউক্রেনীয় সেনারা গুলি ছোড়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ন্যাটো যোদ্ধাদের সমমানের সক্ষমতা অর্জনে তাঁদের এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার নরওয়ের উত্তরাঞ্চলীয় ট্রনদেইমে
ছবি: এএফপি

ইউক্রেনে আরেক দফা বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় একজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর বলেছেন, একটি ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর আগে সীমান্ত এলাকায় ইউক্রেনের দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলে জানায় রাশিয়া।

রাশিয়া এবং দেশটি নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে সম্প্রতি দফায় দফায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জুলাই মাসে কিয়েভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল, চলমান সংঘাতকে রুশ ভূখণ্ডে ‘ফেরানো হবে’।

আরও পড়ুন

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাতে এবং সকালে ব্রিয়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলে দুটি ড্রোন শনাক্ত ও ধ্বংস করা হয়। কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানান, রাতে কুরস্ক শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ড্রোন আছড়ে পড়লে কয়েক তলার জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এদিকে গতকাল ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাতে উত্তর ও মধ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার ছোড়া চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বিমানবাহিনী আরও জানিয়েছে, এ হামলায় শব্দের চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন বোমারু বিমানও ব্যবহার করে রাশিয়া।

আরও পড়ুন

ইউক্রেনের ৩ বৈমানিক নিহত

অন্যদিকে ইউক্রেনে মাঝ আকাশে দুটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষে দেশটির তিন বৈমানিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ‘জুস’ নামে পরিচিত চৌকস এক বৈমানিকও রয়েছেন। গত শনিবার দেশটির বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এখন পাল্টা হামলা চালাচ্ছে কিয়েভ। বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়া শুরু করেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে তিন বৈমানিকের নিহত হওয়ার ঘটনা দেশটির বিমানবাহিনীর জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত বলেন, নিহত বৈমানিকদের একজন আন্দ্রি পিলশ্চিকভ। তিনি জুস নামে পরিচিত ছিলেন। তরুণ এই পাইলট খুবই চৌকস ছিলেন।

বিমানবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুটি ছিল এল-৩৯ মডেলের। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।