মস্কোর হামলায় আহত বেড়ে ৩৬০

হামলার পর জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় আহতের সংখ্যা ৩৬০ জনে পৌঁছেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বুধবার সকালে বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলায় যে ৩৬০ জন আহত হয়েছেন, তার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১১। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ৯২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৬৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য ২০৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রুশ উপপ্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকোভা বলেন, প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেওয়ার পর অনেকেই হাসপাতালে আসছেন। তাই ওই হামলায় আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।

২২ মার্চ মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে কনসার্ট ভেন্যুতে এক দল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিল। ইউক্রেন সীমান্তে পালানোর সময় তাদের ব্রাইনস্ক অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রহণ করতে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। এ হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।

এদিকে, রাশিয়ার তদন্ত দলকে দেশটির পার্লামেন্ট থেকে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলার পর মধ্য এশিয়ার দেশটির নাগরিকদের রাশিয়ায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোয় সন্ত্রাসী হামলার জেরে কিয়েভ লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রধান গতকাল বলেন, রাশিয়া রাতারাতি ইউক্রেনে ১৩টি শাহেদ ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে, যার মধ্যে ১০টি খারকিভ, সুমি এবং কিয়েভ অঞ্চলে ভূপাতিত করা হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারিকে বরখাস্ত করেছেন। এই পদে দেশটির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে নিয়োগ দিয়েছেন জেলেনস্কি। গত মঙ্গলবার এই রদবদলের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মাসে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়েও রদবদল করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের বিদায়ী সেক্রেটারির নাম ওলেকসি দানিলভ। তিনি ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে এই পদে ছিলেন। এর মাত্র চার মাস আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন জেলেনস্কি। দানিলভের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশটির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসা ৫১ বছর বয়সী ওলেকসান্দর লিটভিনেনকো।