অক্সফোর্ডের টিকার ভবিষ্যৎ কী  

করোনার টিকা
প্রতীকী ছবি

এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছে। টিকার ট্রায়ালে এটা কিন্তু মোটেও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা নয়। বড় ধরনের ট্রায়ালে এমনটা ঘটে। আশা করা হচ্ছে, অসুস্থ হওয়ার কারণ নির্ণয়ের পর শিগগিরই আবার শুরু হবে এ ট্রায়াল। রিপোর্ট গার্ডিয়ানের।

অসুস্থ ব্যক্তির আসলে কী হয়েছে?
বলা হচ্ছে, অসুস্থ ব্যক্তির ট্রান্সভার্স মাইলিটিসি হয়েছে। এটায় স্পাইনাল কর্ডের (স্নায়ু রজ্জু) ব্যথা হয়। ব্যথা সারাতে স্টেরয়েডের দরকার হতে পারে। টিকা দেওয়ার পর ট্রান্সভার্স মাইলিটিসি হওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই কম। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় টিকা দেওয়া ১১৯ জনের মধ্যে এর লক্ষণ দেখা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ৯০ জন ছিলেন নারী, ২৯ জন পুরুষ। ৩০ বছর ধরে টিকা পাওয়া বিপুলসংখ্যক লোকের মধ্য থেকে মাত্র এই কয়েকজনকে পাওয়া যায়। তাই গবেষকেরা মনে করেন, টিকার প্রভাবে এ সমস্যা প্রায় বিরল।

অক্সফোর্ডের টিকার ওপর এর প্রভাব কী
অক্সফোডের সঙ্গে এটা উৎপাদনে আছে অ্যাকট্রাজেনেকা। এখন এ টিকার ট্রায়ালে অংশ নেওয়া যে স্বেচ্ছসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁর পুরো রোগের বিষয়টি পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও দেখা হবে। এসব ব্যক্তি টিকার যতটুকু ডোজ পেয়েছেন, তা–ও পরীক্ষার মধ্যে থাকবে। গবেষকেরা মনে করছেন, এসবের পর ট্রায়াল আবার শুরু হবে। এখন বিশ্বজুড়ে করোনার মোট নয়টি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। অক্সফোর্ডের এ টিকার ক্ষেত্রে টিকা পাওয়া স্বেচ্ছাসেবীর যে অবস্থা হয়েছে, তা অন্যদের জন্যও একটি শিক্ষা বটে। তাঁরা এ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এবং এমন সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রস্তুত হতে পারবেন।

টিকার জন্য তাড়াহুড়োর ফল এটি?
সম্ভবত নয়। এ কথা সত্যি, করোনার টিকা যে দ্রুত হারে তৈরি হচ্ছে, অতীতে আর এমনটি হয়নি। তবে টিকাগুলো তৈরিতে যথেষ্ট রকমের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যে টিকা বানিয়ে ফেলার। তবে এখন যেভাবে স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালালেও এমন সমস্যা হতে পারত।