আচমকা চুমু খেলেন অচেনা নারী, সাংবাদিক বিব্রত

সাংবাদিককে আচমকা চুমু খেলেন নারী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
সাংবাদিককে আচমকা চুমু খেলেন নারী। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

রাশিয়ার বিশ্বকাপ যেন চমকের ছড়াছড়ি। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলগুলোর বিদায়ের পাশাপাশি সমর্থকদের পাগলাটে কর্মকাণ্ডও বেশ চমকে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। নারী সাংবাদিককে যৌন হেনস্তার পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ার এক পুরুষ টিভি সাংবাদিকও সরাসরি সম্প্রচারের সময় যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। খবর বিবিসির।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল এমবিএনের সাংবাদিক জিওন জিওয়াং রিওল গত ২৮ জুন মাইক্রোফোন হাতে সরাসরি সম্প্রচারে থাকা অবস্থায় দুই রাশিয়ান তরুণী তাঁর গালে চুমু খান। এ সময় রিওল বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিজের বিব্রত ভাব এড়াতে পারেননি।

এ ঘটনায় চীনের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবোতে ঝড় উঠেছে। সেখানে এ ঘটনার জন্য রাশিয়ান নারীদের সমালোচনা না করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে এই বিশ্বকাপে নারী সাংবাদিককে যৌন হেনস্তার পর পুরুষ হেনস্তাকারীকে যেভাবে নিন্দা করা হয়, এ ঘটনায় রাশিয়ান নারীরা কেন সে রকম নিন্দার শিকার হচ্ছেন না—এ নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে ওয়েবো।

একজন ওয়েবো ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আগের ঘটনার প্রতিক্রিয়ার তুলনায় এর প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ উল্টো।’

আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কেন এটিকে নিপীড়ন বলা হবে না?’ তাঁর এ মন্তব্যে শত শত লাইক পড়ে।

চুমু খাওয়ার পর বিব্রত সাংবাদিক। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
চুমু খাওয়ার পর বিব্রত সাংবাদিক। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

অন্য এক ওয়েবো ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘চুমুটি যদি সুন্দরী দেন, তাহলে সেটা আর হেনস্তা হয় না।’

আরেকজন পুরুষ ও নারীর সমতার বিষয়টি উল্লেখ করে লিখেছেন, দুটি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এটা দেখা যাচ্ছে যে সমাজে লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান।

কিছু ব্যবহারকারী নারীর কথা বলার সময় মিডিয়ার ব্যবহৃত ‘সুন্দরী’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

চুমু-কাণ্ডটি চীনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এটি নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার টুইটার লিখেছে, ‘আপনি যে লিঙ্গেরই হোন না কেন, যৌন হেনস্তার শিকার হতে পারেন। এমবিএন টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক রাশিয়ায় বিশ্বকাপের খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে দুই নারীর যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন।’

বিগত কয়েক মাসে ওয়েবোতে প্রচুর যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না বলে অভিযোগ করেছেন। গত সপ্তাতে এক ভিডিওতে বলা হয়, ‘নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ—সবাই যৌন হেনস্তার শিকার হতে পারেন। ভিডিওটি ওয়েবোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ে।