আমরা ক্লান্ত হলেও করোনা ক্লান্ত হয়নি: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস
ছবি: রয়টার্স

ক্লান্ত হয়ে পড়লেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তিনি বলেছেন, ভাইরাসটি এখনো ক্লান্ত হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্যারিস পিস ফোরামে গতকাল বৃহস্পতিবার তেদরোস বলেছেন, ‘কোভিড ১৯–এর কারণে আমরা ক্লান্ত হতে পারি। তবে ভাইরাসটি ক্লান্ত হয়নি। ইউরোপের দেশগুলো এখনো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বদল আসেনি।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, টিকার কার্যকারিতার প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সেটি ঝুঁকিপূর্ণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োজন। তবে টিকার জন্য অপেক্ষা করে সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে চাই না।’

করোনা মহামারি চলছে ১১ মাসের বেশি সময় ধরে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ১২ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বৈশ্বিক অর্থনীতি নিম্নমুখী হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।

শীতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেক দেশ নতুন করে লকডাউন পদ্ধতি আরোপ করেছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিপর্যয় ঠেকাতে লকডাউনকেই পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ।

গত সোমবার মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়ো এন টেক দাবি করেছে, তাদের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রাথমিক ফলাফলে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। টিকাটির নিরাপত্তার তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

কোভিড-১৯–এর কোনো টিকা পাওয়া গেলে তা যেন দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যেও সমানভাবে বণ্টন করা হয়, তার আহ্বান জানান তেদরোস।