আরও এক বছর যুদ্ধ চালানোর অর্থনৈতিক সামর্থ্য আছে রাশিয়ার: ইউক্রেন

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে রুশ সেনারা
ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া আরও এক বছর বর্তমান গতিতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। যুদ্ধের সম্মুখভাগে অস্ত্রশস্ত্রে কিয়েভ উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে বলেও সতর্ক করেছে তারা। খবর আল-জাজিরার।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান গোয়েন্দা অধিদপ্তর সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পশ্চিমাদের আস্থা অর্জনে ক্রেমলিনের নেতৃত্ব সম্ভবত কিছু সময়ের জন্য যুদ্ধ স্থগিত রাখার চেষ্টা করবে। কিন্তু পরে আবার আগ্রাসন চালিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ গোয়েন্দা অধিদপ্তর আরও বলেছে, ‘বর্তমান গতিতে আরও এক বছর যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে দখলদার দেশটিকে সুযোগ করে দেবে রাশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পদ (শক্তি)।’

দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপ্রধান ভাদিম স্কিবিৎস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার ১০ থেকে ১৫টি কামানের বিপরীতে ইউক্রেনের একটি কামান আছে। তাই এখন পশ্চিমা মিত্ররা আমাদের কী অস্ত্র সরবরাহ করছে, তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’

কিয়েভের ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ—তিন দিক থেকে স্থল অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।

আরও পড়ুন

প্রথম কয়েক দিন দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় রুশ বাহিনী। কিন্তু পশ্চিমা অস্ত্রসহায়তা পেয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুললে উত্তর দিক থেকে সরে এসে পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে অভিযান জোরদার করে তারা।

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলো। সম্প্রতি ইউক্রেনকে ৭০-৮০ কিলোমিটার পাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ অস্ত্র সরবরাহকে ‘আগুনে ঘৃতাহুতি’ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।