ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড-ওয়েলসে ভ্রমণরতদের আইসোলেশনের নতুন নিয়ম

রয়টার্স ফাইল ছবি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। হলুদ তালিকায় থাকা দেশের অধিবাসীদের জন্য এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। আগামী সোমবার থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। খবর বিবিসির।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে যাঁরা টিকা নিয়েছেন, কেবল তাঁরাই ফ্রান্স বাদে অন্য হলুদ তালিকাভুক্ত দেশ থেকে এলে কোয়ারেন্টিনে থাকেন না। যুক্তরাজ্যের সরকার বলছে, নতুন এ নিয়ম পরিবার ও বন্ধুদের একত্র হতে সহায়তা করবে।

পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট স্যাপস বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা যুক্তরাষ্ট্র অনুমোদিত টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে। পৌঁছানোর কমপক্ষে ১৪ দিন আগে এ টিকার চূড়ান্ত ডোজ নিতে হবে।

তবে ভ্রমণরতদের পৌঁছানোর পরের দিনে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগেও তাঁদের একবার পরীক্ষা করাতে হবে। ১৮ বছরের কমবয়সীদের আইসোলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। বয়সের ভিত্তিতে অনেকের করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজনও নেই।

যুক্তরাজ্যে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার কমেছে।
হলুদ তালিকাভুক্ত হলেও ফ্রান্সের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে না। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ফ্রান্স থেকে এলে ভ্রমণরতদের আইসোলেশনে থাকতে হবে।
১৬ মাস স্থগিত থাকার পর আগামী ২ আগস্ট থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলো ইংল্যান্ড থেকে ছেড়ে যাবে।

স্কটল্যান্ডের পরিবহনমন্ত্রী মাইকেল ম্যাথেসন বলেছেন, নতুন এই নিয়ম পর্যটন খাত ও অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। তিনি বলেন, নতুন এ নিয়ম কার্যকরে পরিস্থিতি কী হয়, তা পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসকেরা।

ওয়েলসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইলানড মর্গান বলেছেন, টিকা ঝুঁকি কমায়। তবে করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তাই এই গ্রীষ্মে অপ্রয়োজনে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার ওপরে তিনি গুরুত্ব দেন।