ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের সড়কে রাশিয়ার সামরিক যান
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের সামরিক বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এ দাবি করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পরই মস্কো এ দাবি করল। খবর এএফপির।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করে বলেছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু বিমানঘাঁটির সামরিক অবকাঠামো অচল হয়ে গেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী।

পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে বৃহস্পতিবার সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছে। এ দাবি ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলছে, ট্যাংকসহ রাশিয়ার ভারী সামরিক যানবাহন উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দিয়েও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঢোকার কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

আরও পড়ুন

এর আগে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছে তারা রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেরহিই শাপটাললার বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের সাত নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পুলিশ দাবি করেছে। ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা পোডিলস্কে হামলা হয়েছে। পোডিলস্কের কাছের ওডেসা এলাকায় রাশিয়ার বোমা হামলায় অন্তত ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন সাতজন। আর দেশটির ১৯ নাগরিকের কোনো খোঁজ মিলছে না।

বিবিসি বলেছে, পুতিন সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের আরও দুটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলগোরোদ প্রদেশে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

রাশিয়ার সীমান্তের দক্ষিণে ইউক্রেনের খারকিভে স্থানীয় সময় আজ ভোরের দিকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। শহরটি রাশিয়া সীমান্তের ৩৫ কিলোমিটার (২০ মাইল) দক্ষিণে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের এ এলাকায় ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন সেনাবাহিনী ও মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়াই চলছে।