ইউক্রেনের শরণার্থী শিশুদের দেখতে গেলেন পোপ

রোমে ভ্যাটিকান শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরণার্থীদের দেখতে যান পোপ ফ্রান্সিস
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের যুদ্ধশরণার্থী শিশুদের দেখতে গেছেন ক্যাথলিকদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। রোমে ভ্যাটিকান শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ শরণার্থীদের আকস্মিক পরিদর্শনে যান তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাম্বিনো গেসু পেডিয়াট্রিক হাসপাতালে ৫০ ইউক্রেনীয় শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।

বর্তমানে এই হাসপাতালে ১৯ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে বলে আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, কিছু শিশু যুদ্ধের শুরুর দিকে পালিয়ে আসে। তাদের স্নায়ুবিক ও ক্যানসারের মতো সমস্যা ছিল। অন্যরা ‘মারাত্মক বিস্ফোরণে জখম হয়ে’ চিকিৎসা নিচ্ছে।

গতকাল শনিবার গির্জার শিশু গায়কদলের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পোপ বলেন, ‘আসুন তাদের জন্য প্রার্থনা করি...বাম্বিনো গেসুতে চিকিৎসা নেওয়া শিশুরা যুদ্ধে আহত হয়েছে।’

আজ সিএনএনের লাইভ প্রতিবদেনে বলা হয়, বেসামরিক স্থাপনায় রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর রুবিঝনেতে আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ভবনে রুশ বাহিনী গোলাবর্ষণ করেছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ।

এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরের একটি এতিমখানা থেকে ৭১ শিশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে দুই সপ্তাহ তারা বেজমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিল।

সুমির আঞ্চলিক গভর্নর দিমিত্রো ঝিভিৎস্কি বলেছেন, এতিম এই শিশুদের অনেকেই প্রতিবন্ধী। এদের বয়স চার বছরের নিচে। সুমির কেয়ার হোম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। মানবিক করিডোর দিয়ে তাদের যুদ্ধাঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলা রোববার ২৫তম দিনে গড়িয়েছে। হামলায় রুশ বাহিনী আবাসিক ভবনসহ বেসামরিক স্থাপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করছে বলে অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। এসব হামলায় শিশু ও নারীরা বেশি হতাহত হচ্ছেন। তবে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে মস্কো।

অন্যদিকে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত শুক্রবার পর্যন্ত দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৯২ জন মানুষ দেশ ছেড়েছে। এ ছাড়া অন্য দেশে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ঘরবাড়ি ছেড়েছে আরও ৫৮ হাজার ৩০ জন ইউক্রেনীয়। যারা ইউক্রেন ছেড়েছে, তাদের ৯০ শতাংশই নারী ও শিশু। কারণ, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের যাঁরা যুদ্ধ করতে পারবেন, তাঁরা দেশ ছাড়তে পারছেন না।