ইউরোপে নববর্ষ উদ্যাপনে থাকছে না উদ্দীপনা
করোনার প্রবল ধাক্কায় ইউরোপের দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় নববর্ষ উদ্যাপন বিষয়ে ইউরোপের বড় শহরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জারি করা হয়েছে বিশেষ বিধিনিষেধ। ফলে এবার ইউরোপে নববর্ষ উদ্যাপনে থাকছে না উদ্দীপনা।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আগে থেকেই রাত আটটা থেকেই সকাল ছয়টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি রয়েছে। তবে নববর্ষের রাতে যাতে কেউ রাস্তায় না নেমে আসে, সে বিষয়ে প্যারিসের অধিবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বত্র নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান টুইটারে বলেছেন, ‘ঘরের আপনজনদের নিয়েই নববর্ষ উদ্যাপন করুন।’ এই মুহূর্তে অন্য পরিবারের সঙ্গে মিলিত না হওয়ার বিষয়ে তিনি সতর্ক করেছেন। লন্ডন ছেড়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
লন্ডনের মেয়র অফিস থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের অনন্য স্থানের তুলনায় রাজধানীতে করোনার সংক্রামণ হার বেশি।
জার্মানির সর্বত্র নববর্ষ উদ্যাপনের বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এখানে নববর্ষ উদ্যাপনে ছোট-বড় সমাবেশ, আতশবাজি বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানী বার্লিনে নিরাপত্তার জন্য প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
বার্লিনের পুলিশ জানিয়েছে, শহরে দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থীদের অনুমোদিত মিছিল করার কথা রয়েছে। তবে এই মিছিল নিয়ে যেন রাজধানীতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ সজাগ থাকবে।
বড়দিনের উৎসবের মতোই নববর্ষে জার্মানিতে পারিবারিকভাবে পাঁচজনের বেশি ব্যক্তিকে মিলিত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জার্মানিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কড়া লকডাউন ব্যবস্থা জারি রয়েছে।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনাভারাসে ৩৩ হাজার ৩৪ জন মারা গেছেন। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান স্পান বুধবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে এ বছর নববর্ষ উদ্যাপনে ধৈর্য ধরে ঘরে থাকবার পরামর্শ দিয়েছেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নতুন বছরের শুভেচ্ছাবাণীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ইউরোপে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।