উতরে গেলেন বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের আস্থা ভোটে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বরিস জনসন। আপাতত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন তিনি।

বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সোমবার ভোট দেন তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা। এতে বরিস জনসনের পক্ষে ২১১ ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৮ ভোট পড়ে। খবর বিবিসির।  

আরও পড়ুন

করোনাভাইরাসের বিধিনিষিধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির আয়োজন করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কাণ্ডজ্ঞানহীন ওই কাজের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনা পিছু ছাড়েনি বরিসের। এজন্য সোমবার দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ে বরিসের নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির ঘটনা জনসমক্ষে আসার পর থেকে তা নিয়ে কয়েক দফা তদন্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে দুই সপ্তাহ আগে ওই ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। মদ্যপানের আসরের ১৬টি ঘটনার তদন্ত করেছেন তিনি। বরিসের এমন পদক্ষেপের সমালোচনার পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদের সঙ্গে বেশকিছু ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, বরিস তাঁর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মদ্যপান করছেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ওই আসরে মারামারির ঘটনাও ঘটে বলে জানা যায়। যদিও করোনার বিধিনিষেধের সময় এমন আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে থেকেই বরিসের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন অনেকে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সেই দাবি জোরালো হয়।

আরও পড়ুন

কনজারভেটিব পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’ দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এই কমিটিতে দলটির ১৫ শতাংশ আইনপ্রণেতা যদি চিঠি দিয়ে দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলে তা অনাস্থা ভোটে গড়ায়। ওই কমিটি সোমবার বরিস জনসনের নেতৃত্বের ওপর অনাস্থা ভোটের আয়োজন করে।

ভোট গণনা শেষে বাংলাদেশ সময় রাত ২টার পর এই কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডি বলেছেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে, পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে।’