এখন পরাশক্তি হওয়ার পথে চীন ও জার্মানি: পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যখন বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোয় সিদ্ধান্ত নিত, সেই যুগ অতীত হয়ে গেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করে বলেছেন, এখন চীন ও জার্মানি পরাশক্তি হওয়ার পথে এগোচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের একটি বৈঠকে পুতিন এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় ইঙ্গিত দেন, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে যেখানে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ক্ষয়ে যাচ্ছে, সেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেইজিং ও বার্লিন পরাশক্তির মর্যাদা অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন সীমিত করা প্রসঙ্গে রুশ–মার্কিন সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শর্তহীনভাবে এক বছরের জন্য বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। কিন্তু ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে তা নাকচ করে দেয়।

ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অংশ নেওয়া এ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যায় যদি ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনায় প্রস্তুত না থাকে, তবে রাশিয়া তা নিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে তৈরি আছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আর নিজেকে অন্যদের থেকে ব্যতিক্রমী বলে দাবি করতে পারবে না।’

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেন, নির্বাচনের পর দেশটিতে যে নতুন প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, তারা নিরাপত্তা ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে আলোচনায় তৈরি থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন সীমিত করা প্রসঙ্গে রুশ–মার্কিন সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শর্তহীনভাবে এক বছরের জন্য বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। কিন্তু ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে তা নাকচ করে দেয়।

দ্য নিউ স্টার্ট (স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি) নামে পরিচিত ওই চুক্তি ২০১০ সালে সই হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলেন, মতপার্থক্য সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও মস্কো দৃশ্যত নতুন স্টার্ট চুক্তি সইয়ের কাছাকাছি অগ্রসর হচ্ছে।