কপ–২৬ জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী নন থুনবার্গ

গ্রেটা থুনবার্গ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্দোলনে সাড়া জাগানো সুইডেনের অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ–২৬) ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না তিনি। বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় এ বৈঠক শেষ সুযোগ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ আসবে বলে মনে করেন না তিনি। বাস্তব পরিবর্তনের জন্য বিশ্ব নেতাদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে অধিকারকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন থুনবার্গ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

৩১ অক্টোবর থেকে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডে কপ–২৬ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এটিই সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার গতি কমাতে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে আশাবাদী নন গ্রেটা থুনবার্গ।

স্টকহোমে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়ার এক ফাঁকে এএফপির সঙ্গে কথা বলেন থুনবার্গ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে না এ সম্মেলনে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে। অনবরত আমাদেরকে চাপ দিয়ে যেতে হবে। আমার আশা, অবশ্যই এক দিন বুঝতে পারব যে আমরা অস্তিত্ব সংকটের মুখে আছি এবং এরপর ব্যবস্থা নিব।’

থুনবার্গ বলেন, ‘কপ–২৬–এর মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোর মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে। কারণ, এগুলোতে অনেক মানুষ একত্র হয়। সুতরাং আমাদের নিশ্চিত হবে যে সত্যিকারের পরিবর্তন আমরা যে সুযোগ আছে আমরা তা ব্যবহার করছি কি না।’

গ্লাসগো সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার ব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলো থেকে অনুদানও চাওয়া হবে। থুনবার্গ মনে করেন, সত্যিকার অর্থে গ্রহকে বাঁচাতে চাইলে নিয়ম মানার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর সৃষ্টির প্রবণতা থেকে সরে এসে মূল জায়গায় মনোনিবেশ করতে হবে।

‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ আন্দোলনে লাখো মানুষকে সমবেত করে বিশ্বব্যাপী নজর কেড়েছিলেন গ্রেটা থুনবার্গ। ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডেনে নিজের মতো করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। সুইডেন পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে তাঁর ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’ আন্দোলনে অনেক স্কুলশিক্ষার্থী অনুপ্রাণিত হয়। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে অনেক দেশে।