কোভিড-১৯: জীবন বাঁচানোর আরও এক চিকিৎসা

জার্মানির ডার্মস্ট্যাডে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত একজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন
ছবি: রয়টার্স

স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ব্যবহারে কোভিড-১৯-এ মৃত্যু ঠেকানোর বিষয়টি আবিষ্কারের ঠিক এক বছর পর গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা জীবন বাঁচানোর আরও একটি চিকিৎসা বের করেছেন।

তবে এই চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল বলে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই চিকিৎসায় করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য শরীরে অ্যান্টিবডি দেওয়া হয়।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ৩ জন রোগীর মধ্যে ১ জনের সেরে ওঠায় ভূমিকা রাখছে এই চিকিৎসা। আর প্রতি ১০০ জন রোগীর মধ্যে ৬ জনের জীবন বাঁচিয়েছে এটা।

তবে যাঁদের শরীরে নিজ থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, তাঁদের এই চিকিৎসা দেওয়া উচিত। এতে খরচ পড়বে এক হাজার থেকে দুই হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।

ট্রায়ালে এই চিকিৎসা নেওয়া কিম্বার্লি ফিদারস্টোন বিবিসিকে বলেন, ‘আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। কারণ আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি হলাম, সে সময় এই ট্রায়াল শুরু হলো। আর আমি এই দারুণ চিকিৎসা নিতে পারলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ কারণেও খুশি যে চিকিৎসাটি নিয়ে এর সফলতা পাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরেছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক রেজেনেরোন ফার্মাসিউটিক্যালস এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসা নিয়ে এসেছে। শ্বেত রক্তকণিকা ক্লোন করে তৈরি করা এই অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস যেন মানবদেহের কোষে সংক্রমণ এবং বংশবিস্তার করতে না পারে, সেই কাজটি করে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানি রেজেনেরোন ফার্মাসিউটিক্যালস নতুন এই অ্যান্টিবডি থেরাপি বের করেছে
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১০ হাজার রোগীর ওপর এই অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ও কমে আসছে (গড়ে চার দিন করে)। ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।

গবেষণায় যুগ্মভাবে নেতৃত্ব দেওয়া স্যার মার্টিন ল্যানড্রে বলেন, দুটি অ্যান্টিবডির মিলিত রূপ শিরায় প্রবেশ করানোয় তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে।