দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমার বিস্ফোরণ

এভাবেই বাল্টিক সাগরের পানিতে বিস্ফোরিত হয় পাঁচ টন ওজনের বোমা ‘টলবয়’
ছবিটি পোলিশ নৌবাহিনী ফেসবুকে শেয়ার করেছে

পোল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত একটা অতিকায় বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে। নিষ্ক্রিয়করণের সময় গত মঙ্গলবার বাল্টিক সাগরের একটি চ্যানেলে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পোল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরিত বোমাটিকে ‘টলবয়’ নামে ডাকা হয়। পাঁচ টন ওজনের এই বোমা ‘ভূমিকম্প বোমা’ নামে পরিচিত ছিল। এটি ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের জন্য ব্রিটেনের দ্য রয়্যাল এয়ারফোর্স নিক্ষেপ করে। মোট ১২টি টলবয় নিক্ষেপ করা হয়েছিল। একটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়।

টলবয়কে নিষ্ক্রিয়করণচেষ্টার আগে সেখানকার আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৭০০ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই জলপথের চারপাশে ১৬ কিলোমিটার জুড়ে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের ব্যবহৃত বোমা ‘টলবয়’
ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

গত বছর ১২ মিটার (৩৯ ফুট) গভীরে এক খননকাজের সময় টলবয়টি পাওয়া যায়। উত্তর-পশ্চিম পোল্যান্ডের বন্দর শহর সুইনজস্কিতে ওই খননকাজ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকা জার্মানির অংশ ছিল। ৬ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের এই বোমায় বিস্ফোরকের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৪ টন।

পোলিশ নৌবাহিনীর অন্যতম মুখপাত্র চেগোস লেভানদোভস্কি বলেন, বোমাটি নিষ্ক্রিয়করণের উদ্দেশ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে পানিতে নিমজ্জিত করা হচ্ছিল। কিন্তু পুরোপুরি নিমজ্জনের আগেই এর বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি বলেন, তাঁদের এই বোমা নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের কোনো ঝুঁকি থাকে না। কারণ, এটি করা হয় দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে।

সুইনজস্কিতে ৫০ বছর ধরে বসবাসরত নারী হালিনা পেসকোভস্কা বলেন, সেখানে এর আগেও অনেক বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের মতো কখনোই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়নি। তাঁরা এর আগে নিজেদের ঘরের মধ্যেই অবস্থান করতেন।