টিকা নিলেন পুতিন, তবে দিলেন না ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পুতিন করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেন। তাঁর মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ এ তথ্য জানান। তবে পুতিন করোনার ঠিক কোন টিকা নিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি পেসকভ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পেসকভ বলেছেন, পুতিন করোনার টিকা নিয়েছেন। তিনি ভালো বোধ করছেন। বুধবার তাঁর পূর্ণ কর্মদিবস রয়েছে।

ঘোড়ায় চড়া, বরফে স্কেটিং করা, মৎস্য শিকারসহ নিজের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি তুলে তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পুতিনের জুড়ি নেই। তবে তাঁর করোনার টিকা নেওয়ার কোনো ছবি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে রুশদের মধ্যে ব্যাপক অনাগ্রহ আছে। তাঁদের উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে ৬৮ বছর বয়সী পুতিন টিকা নিয়েছে বলে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৬৩ লাখ রুশ এখন পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন, যা রাশিয়ার প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ। আগামী জুলাই নাগাদ রাশিয়ার ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে টিকা দিতে চায় দেশটি।

রাশিয়া করোনার তিনটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হলো ‘স্পুতনিক-ভি’, ‘এপিভ্যাককরোনা’ ও ‘কোভিভ্যাক’।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ গতকাল দাবি করেন, রাশিয়ার তিনটি টিকার সব কটিই পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য, খুব ভালো ও কার্যকর।

গত বছরের আগস্টে রাশিয়া প্রথম করোনা টিকার অনুমোদন দেয়। রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি বিশ্বের কোনো দেশে প্রথম অনুমোদন পাওয়া করোনার টিকা। গত বছরের অক্টোবরে করোনার দ্বিতীয় টিকার অনুমোদন দেয় রাশিয়া। দেশটির দ্বিতীয় টিকাটির নাম এপিভ্যাককরোনা। আর রাশিয়া কোভিভ্যাক নামের তৃতীয় টিকার অনুমোদন দেয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে।

পরীক্ষার সব কটি ধাপ সম্পন্ন করার আগেই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় রাশিয়া। তাই রাশিয়ার টিকা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর গবেষকদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে।

স্পুতনিক-ভি টিকা নিয়ে বিদেশিদের সমালোচনা গত সোমবার নাকচ করেন পুতিন। রাশিয়ার টিকা নিয়ে সমালোচনাকে ‘অদ্ভুত’ বলে অভিহিত করেন তিনি। এ ধরনের সমালোচনার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পুতিন। এদিনই পুতিন জানান, তিনি মঙ্গলবার টিকা নিচ্ছেন।

পুতিনের এক মেয়ে স্পুতনিক-ভি টিকা নিয়েছেন বলে গত বছরের আগস্টে জানানো হয়। টিকা নিয়ে তিনি ভালো আছেন বলে সে সময় জানানো হয়।