টিকার পেটেন্ট উন্মুক্ত করা নিয়ে সন্দিহান ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর
ছবি: রয়টার্স

করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার পেটেন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়ার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইইউ।

গতকাল শনিবার ইইউ নেতাদের চেয়ারম্যান চার্লস মাইকেল এ কথা বলেন। পর্তুগিজ শহর পোর্তোয় ইইউ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাইকেল বলেন, মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ে এখন আরও দ্রুত করোনার টিকা তৈরি করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো থেকে টিকা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

মাইকেল আরও বলেন, ‘ইউরোপে আমরা রপ্তানি সম্ভব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সব অংশীদারকে ডোজ রপ্তানির জন্য উত্সাহ দিচ্ছি।’

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা টিকার পেটেন্ট উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়, যাতে এর উৎপাদন বাড়ানো ও বিশ্বব্যাপী সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। এরপর গত বুধবার থেকে এ নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ধারণার পক্ষে অবস্থান নেন। তবে তা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মাধ্যমে করতে বলেন।

তবে সন্দেহবাদীরা বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে গেলে ও টিকা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে গেলে যে সময় লাগবে, তাতে পেটেন্ট উন্মুক্ত করেও দ্রুত ফল পাওয়া যাবে না।

মাইকেল বলেন, ‘মেধাস্বত্বের দিক বিবেচনায় আমরা একে স্বল্প মেয়াদে কোনো জাদুর বুলেট বলতে পারি না। তবে আমরা এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব পেলে তা নিয়ে আলোচনায় বসতে পারি।’

ইইউ কর্মকর্তারা বলেন, সম্মেলনে জার্মানি মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত করার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। পর্তুগাল, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও আয়ারল্যান্ড টিকা উন্মুক্তের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান। তবে গ্রিস ও ইতালি এর পক্ষে।

ইইউ কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের টিকার অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক ইইউ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৯০টি দেশে ২০ কোটি ডোজ টিকা রপ্তানি করেছে ইইউ। ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের নাগরিকদের ২০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন বলেন, করোনার টিকার মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত করতে মার্কিন–সমর্থিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে ইউরোপ।