তীব্র তাপে পুড়ছে ইউরোপ

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ। ছবি: এএফপি
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ। ছবি: এএফপি

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপ। জার্মানি, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে গতকাল বুধবার এযাবৎকালে জুন মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোয় তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল জার্মানির ব্রান্ডেনবার্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার স্পেনের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। প্রচণ্ড গরমে বিশেষ করে ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে জীবনযাপন রীতিমতো অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাজধানী প্যারিসেও অসহনীয় তাপমাত্রায় নগরজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের প্যারিসের আশপাশের বেশ কয়েকটি শহরের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ২০০৩ সালের আগস্টে ফ্রান্সজুড়ে তীব্র দাবদাহে এক মাসে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছর আগস্টে তিনবার সর্বোচ্চ তাপা মাত্রার রেকর্ড ভাঙে। ওই বছরের ১২ আগস্ট সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, উত্তর আফ্রিকার উত্তপ্ত বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে ইউরোপের তাপমাত্রা বেড়েছে।

গরমের কারণে বেশির ভাগ দেশেই ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ সতর্কতার এক ধাপ নিচের সতর্কতা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সবাইকে কীভাবে ঠান্ডা থাকা যায়, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন। স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, তীব্র গরমে বিভিন্ন বনাঞ্চলে দাবানল লাগার আশঙ্কা রয়েছে।