তুরস্কের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ

তুরস্কের এফ-১৬ জেট বিমান
ছবি: রয়টার্স

ইউরোপের আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছে তাদের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তুরস্কের জেট বিমান। এতে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমানের চালক মারা গেছেন। আর্মেনিয়ার আকাশে তুরস্কের এফ-১৬ জেটটি আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংঘর্ষে আজারবাইজানের পক্ষে থাকা তুরস্কের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিতর্কিত ওই পাহাড়ি অঞ্চলে তিন দিনের সংঘর্ষে প্রায় ১০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তবে আগের দুই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মধ্যে ১৯৮৮-৯৪ যুদ্ধের পর থেকে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা এটি পরিচালনা করে আসছে।

আজারবাইজান আগেই বলেছে, তাদের কোনো এফ-১৬ ফাইটার জেট নেই। তবে তুরস্কের আছে।

তিন দিন আগে শুরু হওয়া ওই লড়াই এখন নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর অভিযোগ তুলেছে। আর্মেনিয়াতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি থাকলেও দেশটি আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দ্রুত লড়াই বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুশান স্টেপায়ান বলেন, আর্মেনিয়ার এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমানটিকে মঙ্গলবার সকালে ভূপাতিত করা হয়। পাইলট মারা গেছেন। এ সময় তুরস্কের এফ-১৬ বিমান আর্মেনিয়ার ৬০ কিলোমিটার ভেতরে এসেছিল।

তুরস্ক বলছে, এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আর্মেনিয়ার সস্তা প্রচারের কৌশল বাদ দিয়ে ওই অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার প্রমাণ দিয়ে কথা বলা উচিত।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলে লড়াই চলার কথা বলা হয়। আর্মেনপ্রেস নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ওই অঞ্চলে ৮৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২০ জনের বেশি। আজারবাইজানে প্রায় ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের একটি উড়োজাহাজ, চারটি হেলিকপ্টার ও বেশ কিছু ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

আজারবাইজানের পক্ষ থেকে অবশ্য হতাহতের কোনো খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করা হয়নি। তাদের পক্ষ থেকে ১২ জন বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন