তুরেশি-শাহিন পেলেন জার্মানির সর্বোচ্চ পুরস্কার

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টর স্টাইনমায়ার ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে পুরস্কার বিজয়ী ওজলেম তুরেশি ও উগুর শাহিন। ১৯ মার্চ, বার্লিনের বেলভিউ প্রাসাদে
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই এগিয়ে নিতে টিকা উদ্ভাবনের গবেষণায় যুক্ত ছিলেন জার্মান গবেষক ওজলেম তুরেশি ও উগুর শাহিন। তাঁদের হাত ধরেই প্রথম কার্যকর টিকার সন্ধান পায় বিশ্ববাসী। আর তারই স্বীকৃতি হিসেবে এ দুই গবেষককে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘গ্র্যান্ড ক্রস অব মেরিট’–এ ভূষিত করেছে জার্মান সরকার।

বার্লিনে রাষ্ট্রপ্রধানের সরকারি বাসভবন বেলভিউ প্রাসাদে গতকাল শুক্রবার এ দুই গবেষকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টর স্টাইনমায়ার। দুজনের হাতে পদক তুলে দিয়ে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁদের যুগান্তকারী এই উদ্ভাবন মানবজীবন ও জীবিকা রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

এ আয়োজনে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে বড় অর্জনের দেখা মেলে। ওই দিন জার্মানির প্রতিষ্ঠান বিওনটেক ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রস্তুতকারক ফাইজার বিশ্বের প্রথম কার্যকর করোনা টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয়। এ টিকা জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কে ৪৩ হাজার ৫০০ ব্যক্তির ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ওই সময় বলা হয়, টিকাটি করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশের বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবিত এটিই বিশ্বে প্রথম অনুমোদিত করোনার টিকা।

করোনার টিকা উদ্ভাবনে বিওনটেক ও ফাইজারের এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি ওজলেম তুরেশি ও উগুর শাহিন। তাঁদের পড়াশানা জার্মানিতেই। ২০০৮ সালে মধ্য জার্মানির মাইনজ শহরে রাইন নদীর তীরে গড়ে তোলেন জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিওনটেক। তাঁদের এ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে ক্যানসার চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে।