পুতিনকে ঠেকাতে ছয় পদক্ষেপের প্রস্তাব জনসনের

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধে বিশ্বনেতাদের নতুন করে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ঠেকাতে ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

আগামী মঙ্গলবার বরিস জনসন ইউরোপের চার দেশের জোট ভিফোর গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেবেন। ওই বৈঠকে চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার নেতারা অংশ নেবেন। এ বৈঠককে সামনে রেখে এসব পদক্ষেপের প্রস্তাব দেন বরিস।

আগামীকাল সোমবার ডাউনিং স্ট্রিটে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী জনসন এসব পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।

এই ছয় প্রস্তাব হলো—
১. বিশ্বনেতাদের উচিত ইউক্রেনের জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক মানবিক জোট’ সচল করা।
২. বিশ্বনেতাদের উচিত ইউক্রেন আত্মরক্ষার জন্য যে লড়াই চালাচ্ছে, তাতে সমর্থন দেওয়া।
৩. রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়াতে হবে।
৪. ইউক্রেনে আগ্রাসনকে রাশিয়া যেভাবে স্বাভাবিক করে তুলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তা প্রতিরোধ করতে হবে।
৫. যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে, তবে এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের বৈধ সরকারের পূর্ণ অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
৬. ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ১১ দিনে গড়িয়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। রাশিয়ার সর্বাত্মক এ হামলার মুখে ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর এ আহ্বানে এখনো কেউ সাড়া দেননি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করলে ধরে নেওয়া হবে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমারা বলছে, ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, রুশ সেনারা এখন ইউক্রেনের জনবহুল এলাকাগুলোতে হামলা জোরদার করবেন। এদিকে জীবন বাঁচাতে ইউক্রেন থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ পাশের দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।