পুতিনের পৌষ মাস, পশ্চিমের কি ‘সর্বনাশ’

পুতিন বলেছেন, যদি ইউরোপ অনুরোধ করে তাহলে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়াতে প্রস্তুত আছে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভ্লাদিমির পুতিনকে অনেকে বলে থাকেন রাশিয়ার নতুন ‘জার’। বলার অপেক্ষো রাখে না যে খুব একটা ইতিবাচক উপাধি এটি নয়। বরং বিরোধীদের একঘরে করে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ঘরোয়া মসনদে ক্ষমতায় থাকা পুতিন যে ধীরে ধীরে অধুনাবিলুপ্ত রাজতন্ত্র কায়েমের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন, তাই বোঝানো হয়ে থাকে। সেই পুতিন এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের ব্যাপারে স্পষ্ট হয়েছেন। তবে কি পুতিনের পৌষ মাসে পশ্চিমা বিশ্বের সর্বনাশ হবে?

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্চিমা বিশ্ব ভেবেছিল, সমাজতন্ত্রের জুজু দেখানো রাশিয়া হয়তো বিশ্বমঞ্চে আর প্রভাব বিস্তার করতে উদ্যোগী হবে না। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার ফিরিয়ে আনছে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার স্মৃতি। এক দশক ধরে ভ্লাদিমির পুতিনের ‘পুনর্জাগরিত’ রাশিয়া পশ্চিমা অনেক দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন উদ্বেগ অবশ্য ভিত্তিহীনও নয়। এটা অস্বীকারের উপায় নেই যে এ সময়কালে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তাঁর সহযোগীদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। তা অন্য দেশের অংশ দখল করার ক্ষেত্রে হোক, বিদেশের যুদ্ধে কোনো স্বৈরশাসককে সমর্থন দেওয়া হোক কিংবা হোক কোনো ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমন করার বিষয়। ক্রেমলিন আপাতদৃষ্টিতে সব কটিতেই সফল। পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এসব ব্যাপারে পশ্চিমের কাছ থেকে বৈধতা নিয়ে আর ভাবে না মস্কো। ফলে পুতিনের রাশিয়া এখন অনেকটাই বেপরোয়া।

কেন্দ্রে গ্যাসসংকট

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় রাশিয়া বিশ্বকে তাদের আত্মবিশ্বাসী এই অবস্থান আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে। একদিকে রাশিয়া গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় ইউরোপজুড়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ন্যাটোর সঙ্গে তার দেশের সুতায় ঝোলা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন পুতিন। আর দেশের জনগণকে তিনি বোঝাচ্ছেন, পশ্চিমা বিশ্ব সব সময়ই রাশিয়াকে ভুল বুঝে চলেছে!
ইউরোপজুড়ে চলমান জ্বালানির সংকট দেখিয়ে দিয়েছে যে রাশিয়ার হাতে রয়েছে খুব শক্তিশালী একটি হাতিয়ার। ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক কেমন হবে, সেটি নির্ধারণে এই হাতিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতিয়ারটি হলো রাশিয়ার হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত।

এটি আর কোনো গোপন বিষয় নয় যে জার্মানিসহ অনেক ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক জ্বালানি ঘাটতি দেখিয়ে দিয়েছে যে রাশিয়ার ওপর ইউরোপের এই নির্ভরতা ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিও সৃষ্টি করছে।
রাশিয়া অবশ্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে থাকা বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, চাইলে শীতকাল আসার আগেই নিজস্ব মজুত থেকে রাশিয়া তাদের গ্যাসের রপ্তানি বাড়াতে পারে। এতে গ্যাসের দাম কমত ও পরিস্থিতিও শান্ত হয়ে আসত।

রাশিয়া যা বলছে

জ্বালানিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ জোর গলায় অস্বীকার করছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ অর্থহীন’ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘বাজে গল্প’। পুতিনের দিক থেকে প্রশ্ন হলো, ‘আমরা কেন এমনটা করব?’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পাল্টা উত্তর, করা হতে পারে রাজনৈতিক কারণেই।

গোটা উত্তর ও মধ্য ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করে রাশিয়া
ফাইল ছবি: রয়টার্স

নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনের জন্য এখনো জার্মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে রাশিয়া। উল্লেখ্য, বিতর্কিত এই পাইপলাইন রাশিয়া ও জার্মানিকে যুক্ত করবে এবং এতে পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।

এই পাইপলাইনকে যে রাশিয়া তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তা পুতিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি গত বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ফোরামে বলেন, ‘যদি জার্মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আগামীকাল সরবরাহের জন্য ছাড়পত্র দেয়, তাহলে পরশু থেকে ১ হাজার ৭৫০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।’ এ থেকে বোঝা যায় যে এ পাইপলাইন কার্যকর করার জন্য রাশিয়া কতটা উদগ্রীব!

রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে এই পাইপলাইন বিতর্কিত বলার কারণ, অনেক বিশ্লেষকই একে মস্কোর ভূরাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর প্রকল্প বলে মনে করেন। এই আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও যায় না। ওদিকে এ মাসের শুরুতে রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলে দিয়েছেন, নর্ড স্ট্রিমের অনুমোদনের প্রাথমিক কাজ শেষ হলে তা বর্তমান এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সাহায্য করবে।

অর্থাৎ এক অর্থে এই পাইপলাইনকে দরাদরির উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে রাশিয়া।

‘পশ্চিমারা ভুল করে চলেছে’

রাশিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশের জনগণকে একটি বিষয় কয়েক বছর ধরেই বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছে। এটি পুতিনের পশ্চিমাবিরোধী অবস্থান সংহত করায় ভূমিকা রাখতেও সাহায্য করে। আর সেই আপ্তবাক্যটি হলো—‘পশ্চিমারা ভুল করে চলেছে’।

রাশিয়ার ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ওলেগ ইগনাটোভ বলেন, এ আখ্যানের মূল কথা হলো, ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোকে তাদের ভঙ্গুর নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এটা হতে পারে জ্বালানি, বিদেশি হস্তক্ষেপ কিংবা জাতি গঠনের মতো যেকোনো ক্ষেত্রে।

ওলেগ আরও বলেন, ১০ বছর আগে এই বিতর্কটি ছিল আরও রক্ষণাত্মক। কারণ, ক্রেমলিন পশ্চিমা সরকার বা এনজিওগুলোর সমালোচনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চাচ্ছিল। কিন্তু এখন রাশিয়া আর আগের অবস্থানে নেই। মস্কো এখন যুক্তি দিতে পারে এই বলে যে লিবিয়া, সিরিয়া ও বর্তমানের আফগানিস্তানে পশ্চিমা নীতিগুলো বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি এ–ও দাবি করতে পারে, এসব ক্ষেত্রে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি সব সময় সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

আর এমন ভাবনা থেকেই পুতিন সম্প্রতি বলেছেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ছিল বিংশ শতাব্দীর ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ভূরাজনৈতিক ট্র্যাজেডি’। অর্থাৎ বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে রাশিয়াকে আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন পুতিন ও তাঁর সহযোগীরা। আর সে কারণেই পশ্চিমা বিশ্বকে ‘ভুল’ ও রাশিয়াকে ‘ঠিক’ প্রমাণের চেষ্টা চলছে জোরেশোরে।

রাজনৈতিক ফায়দা নিচ্ছেন পুতিন

এবার বিগত এক দশকে পুতিনের আচরণ বিবেচনা করা যাক। ক্রিমিয়া দখল করা, সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা নিয়ে পশ্চিমাদের চোখে ধুলো দেওয়া, ন্যাটো ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব দেখলে একজন নেতার ভাবমূর্তি তৈরি করা সহজ হয়। পুতিন এমন একজন নেতা, যিনি তাঁর দেশের গর্ব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন এবং বৈশ্বিক প্রতিপক্ষদের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগানোতেই তিনি খুশি।

বর্তমানে মস্কোতে থাকেন ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের অনারারি অধ্যাপক মার্ক গ্যালেওত্তি। তিনি সিএনএনকে বলেন, স্নায়ুযুদ্ধ শেষের পর থেকে পুতিনের প্রজন্মের অনেকে বিশ্বাস করেন, তাঁরা এখনো পশ্চিমাদের সঙ্গে এক রাজনৈতিক যুদ্ধে লিপ্ত।
মার্ক গ্যালেওত্তি বলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর এ বিষয়টি আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এখন দেখা যাবে, রাশিয়া আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা মোতায়েন, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের শায়েস্তা করতে আরও বেশি স্বচ্ছন্দ।

তবে রাশিয়াকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন ততটা নেই বলেই মনে করেন মার্ক গ্যালেওত্তি। তিনি বলেন, পশ্চিমাদের জন্য রাশিয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাশিয়াকে পশ্চিমারা যতটা হুমকি বলে মনে করে, আসলে তা ততটা ব্যাপক নয়।

ব্যর্থ পশ্চিমা নীতি

কেউ কেউ যুক্তি দেখান যে পুতিনের অপেক্ষাকৃত ‘ছোট’ হুমকি একটি দুর্বল পশ্চিমা নীতির জন্ম দিয়েছে। এতে করে রুশ প্রেসিডেন্ট স্বাচ্ছন্দ্যে তাঁর তৎপরতা চালাতে পারছেন। এই তৎপরতার বিপরীতে যে ফল তাঁকে ভোগ করতে হয়, তা খুব মারাত্মক নয়।

উদারহরণ হিসেবে বলা যায়, যুক্তরাজ্যের মাটিতে রুশ এজেন্ট দিয়ে সাবেক একজন গোয়েন্দাকে বিষক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা অবশ্যই হুমকি। কিন্তু আসলে যুক্তরাজ্যের জন্য তা সামান্য ক্ষতির কারণ হয়। এর বিপরীতে পুতিনের কাছের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বেশি ঝামেলা হতে পারে।

ধারণা করা হয়, এই খেলাটা খেলা হচ্ছে সম্ভবত পুতিনের হাত দিয়েই। কারণ, এসব ঘটনা তাঁকে ধরাছোঁয়ার বাইরে এমন একজন নেতা হিসেবে তুলে ধরার প্রমাণ দেয়, যিনি পশ্চিমাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে অনড়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোচিতে বার্ষিক ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের আয়োজনে দেওয়া বক্তৃতায় পুতিন তাঁর এমন অবস্থানের সাফাই গান। ওই বক্তৃতায় তিনি আফগানিস্তানে বিপর্যয় তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন।

চ্যাথাম হাউসের একজন সিনিয়র ফেলো ও প্রকাশিতব্য বই ‘হাউ রাশিয়া গেটস ইটস ওয়ে’-এর লেখক কেয়ার জাইলস বলেন, পশ্চিমের দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতা রাশিয়ার সব কার্যকলাপকে একটি সামগ্রিক বিষয় হিসেবে দেখার পরিবর্তে সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, রাশিয়া ক্রমেই সোজাসাপ্টা হয়ে উঠেছে।

নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনের জন্য এখনো জার্মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে রাশিয়া
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আর যখন রাশিয়া তাদের নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে ইউরোপের গ্যাস–সংকটকে কাজে লাগায় কিংবা ন্যাটোর সঙ্গে থাকা অবশিষ্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, তখন বোঝা যায় রাশিয়া এখন আর পরোয়া করছে না। পশ্চিমের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার ভানও আর জারি নেই। কারণ, ক্রেমলিন এখন কাউকে পাত্তা দিতে আগ্রহী নয়।

‘সুযোগসন্ধানী’ পুতিন?

এস্তোনিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক কমান্ডার রিহো টেরাস বলেন, পুতিন একজন সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি। ন্যাটোর অনৈক্যই তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। রাশিয়ার গ্যাসের ওপর জার্মান–নির্ভরতা পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি বড় সমস্যা। পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশ সীমানা ভাগাভাগি করে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এতে ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যের জন্য হয়তো ভালো হতে পারে। কিন্তু এটি একটি ঐক্যবদ্ধ ইউরোপীয় সেনাবাহিনী তৈরির ব্যাপারে প্রশ্ন তৈরি করে দিয়েছে।
পুতিন প্রসঙ্গে টেরাস আরও বলেন, ‘যতবার সুযোগ আসবে, তিনি সেটা নেবেন। এটা ইউক্রেনে ঘটেছে, এটা জর্জিয়ায় ঘটেছে। কখন সুযোগ নিতে হবে, তিনি তা ভালো বোঝেন। যদি পশ্চিমা বিশ্ব নিজেদের মধ্যে অনৈক্য দেখাতেই থাকে, তবে পুতিন কিছুটা সদয় প্রতিক্রিয়া জানাবেন। কারণ, তিনি শুধু কঠোর বার্তাই বোঝেন, সেখানে দুর্বলতার কোনো স্থান নেই। পুতিন একজন জাত যোদ্ধা। পশ্চিমারা যেখানে রাশিয়াকে নিয়ে নিরাপদে খেলার চেষ্টা করছে, সেখানে পুতিন ঝুঁকি নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।’
সিএনএন, রয়টার্স ও বিবিসি অবলম্বনে আল-আমিন সজীব