ফাইজারের টিকা পৌঁছাল যুক্তরাজ্যে

যুক্তরাজ্য গতকাল বুধবার ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা সে দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে
প্রতীকী ছবি এএফপি

ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনার টিকার প্রথম চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। টিকা বিতরণের জন্য মূলকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত এক অজ্ঞাত স্থানে ওই টিকা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে এসব টিকা বিতরণ করা হবে।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য ৪ কোটি ডোজ টিকার ফরমাশ দিয়েছিল। দেশটির টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ২ কোটি লোকের জন্য তা যথেষ্ট।

ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জোনাথান ভ্যান-টাম বলেন, টিকা দেওয়ার প্রথম তরঙ্গ কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা প্রত্যেককে টিকা নিতে হবে এবং তা অত্যন্ত কার্যকর হতে হবে।
জোনাথান ভ্যান-টাম আরও বলেন, এটি  যত দ্রুত এবং যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণে টিকা বিতরণ করতে হবে। তবে টিকাদানের তালিকার ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় থাকতে হবে।

ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা বেলজিয়ামে প্রস্তুত করা হয়েছে।

গত বুধবার বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ বলেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনার টিকা নিরাপদ। যুক্তরাজ্যে এই টিকার প্রয়োগ আগামী সপ্তাহে শুরু হবে।

ফাইজার ও বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ বলেছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার গোষ্ঠীর লোকজনকে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তারা করোনার টিকার বিষয়ে ফাইজার ও বায়োএনটেকের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে। এ টিকা জরুরি ব্যবহারে সম্ভাব্য তালিকাভুক্তির জন্য তারা প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করছে।