ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ

ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের স্টল
ছবি: সরাফ আহমেদ

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গত বছর এ মেলা ভার্চ্যুয়াল আদলে আয়োজিত হয়েছিল। এ বছর বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ বছরের বইমেলায় বিশ্বের নানা প্রান্তের ৮০টি দেশের দুই হাজার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তবে অন্য বছরগুলোতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সংখ্যা থাকে আরও অনেক বেশি। প্রতিবছর মেলায় প্রায় সাত হাজার প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়ে থাকে। করোনা স্বাস্থ্যবিধির কারণে এ বছর দর্শকসংখ্যা প্রতিদিন ২৫ হাজারে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

ফ্রাঙ্কফুর্টে ২০ অক্টোবর শুরু হওয়া এ আন্তর্জাতিক বইমেলা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মানির সংস্কৃতিমন্ত্রী মনিকা গ্রুর্টাস বলেন, ভয়ানক এই মহামারির পরে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক বইমেলা আবার সৃজনশীল শিল্পের লেখক, প্রকাশক ও অন্যদের এক করতে পেরেছে।

ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলার পরিচালক ইউরগেন বস বলেছেন, সারা বিশ্বের বইবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে চেষ্টা করছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে শুরু হয়। সে বছরের ১৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ফ্রাঙ্কফুর্টের পাউল গির্জায় ২০৫ প্রকাশনার ৮৪৪টি বই প্রদর্শনের মাধ্যমে বইমেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ বছর এই মেলা ৭৩ বছরে পা রেখেছে।

এবারের বইমেলায় আছে বাংলাদেশের স্টল। সেখানে প্রায় ৪০০ বই আছে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে একটি দল এবার মেলায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি ও সাংবাদিক মিনার মনসুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সেল প্রধান নাসরিন আক্তার। এ ছাড়া রাজধানী বার্লিন থেকে মেলায় এসেছেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের পর সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলায় বাংলাদেশ বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের প্রায় ৪০০ বই মেলায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ মেলার সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ।

ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক বইমেলা কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে আরও এসেছেন আগামী প্রকাশনী এবং ময়ূরপঙ্খী প্রকাশনীর নির্বাহী পরিচালক মিতিয়া ওসমান। ২০১৫ সাল থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে।