ফ্রান্সে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা, গুলিতে হত্যাকারী নিহত

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ (কালো মাস্ক পরা)। শুক্রবার প্যারিসের শহরতলী কনফ্লান্স-সেইনতে-হোনোরিন এলাকায়
ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সে এক স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী প্যারিসের শহরতলী এলাকায় গতকাল শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই হামলাকারী একাই হামলা চালিয়েছে, নাকি এটি সংঘবদ্ধ হামলা—তা জানার চেষ্টা চলছে। নিহত ওই হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখিয়েছিলেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কার্টুন দেখানোর আগে ওই শিক্ষক ক্লাসে বলেছিলেন, ক্লাসে থাকা মুসলিম শিক্ষার্থীদের যদি খারাপ লাগে, তবে তারা বেরিয়ে যেতে পারে।

এদিকে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিহত ওই হামলাকারীর চার আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে। পুলিশের সূত্র বলেছে, কনফ্লান্স-সেইনতে-হোনোরিন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই পাঁচজনের মধ্যে ওই স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রয়েছেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এই হামলার ঘটনাকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দিয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মাখোঁ বলেন, ‘তারা জিততে পারবে না...আমরা পদক্ষেপ নেব।’

এমন কার্টুন প্রকাশের পর ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রম্য পত্রিকা শার্লি এবদোর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। সম্প্রতি এই হামলার ঘটনায় বিচার শুরু হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে শার্লি এবদোর সাবেক কার্যালয়ের বাইরে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলায় দুজন আহত হয়েছেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকেও ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছিল।