ফ্রান্সের পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সাবমেরিন তৈরি নিয়ে চুক্তি করেন
এএফপি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক সাবমেরিন কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ফ্রান্সের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ নিয়ে গত সোমবার পশ্চিমা জোটের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বিধিনিষেধ সহজ করে ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের সমাধান করেছেন। খবর এএফপির

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে ট্রান্স-আটলান্টিক জোটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন এবং চীনের মোকাবিলায় মিত্রদের এক জোট করছেন।

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের সাবমেরিনের জন্য চুক্তি বাতিল করার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মাইকেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর জবাব চাইবে। এই জোটের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততার বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য বলা হবে।

মাইকেল আরও বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছতা এবং বিশ্বস্ততার স্পষ্ট অভাব লক্ষ করছি।’
মাইকেল বলেন, ‘ট্রাম্পের ক্ষেত্রে আমরা তাঁর মেজাজ, বিষয়বস্তু ও ভাষা বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম। এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে ইইউ তার কাছে প্রয়োজনীয় অংশীদার বা দরকারি মিত্র ছিল না।’

ইইউ কূটনীতিবিদ জোসেফ বোরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিউইয়র্কের এক সভায় ফ্রান্সের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

এই ঘোষণা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার আহ্বানের বিপরীতে চলে গেল।

পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রির চুক্তিকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি মিথ্যা বলার অভিযোগ তুলেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান।
বিবিসি জানায়, এ চুক্তির প্রতিবাদে গত শুক্রবার দেশ দুটিতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছিল ফ্রান্স। এই নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ফ্রান্স বলেছে, অস্ট্রেলিয়া এবং তার অংশীদারেরা যেভাবে বিষয়টি ঘটিয়েছে, তাতে ফ্রান্স অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। বর্তমান পরিস্থিতির পুনর্মূল্যায়ন করতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে ফোনালাপে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি মুখপাত্র গেব্রিয়েল আতাল। তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এইউকেইউএস চুক্তি নিয়ে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চায়।