বরিসের চিঠিতে ক্ষুব্ধ মাখোঁ, প্রীতির সঙ্গে বৈঠক বাতিল

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (বাঁয়ে) ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ
ছবি: রয়টার্স

ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী ঢল ঠেকাতে যুক্তরাজ্যকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে অথবা এ–সংক্রান্ত আলোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক চিঠির জবাবে মাখোঁ এ কথা বলেন।

এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে বরিস বলেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্য পৌঁছানো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে হবে। চিঠিতে গত বুধবার ২৭ জন প্রাণ হারানোর মতো বিপর্যয় এড়াতে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

গত বুধবার ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে ২৭ অভিবাসী নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লেখা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফ্রান্স সরকারের ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বরিস জনসন ফ্রান্সকে দোষারোপ করে বলেন, উপকূলে ফ্রান্স যৌথ টহলে সম্মত হয়েছিল। এ ছাড়া ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেছিল। এ চিঠির পরপরই যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফ্রান্স। রোববার ক্যালাইসে ওই বৈঠকের কথা ছিল। মাখোঁ বলেছেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক হবে।

রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মন্ত্রীরা গুরুত্বসহকারে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর কীভাবে আরও কার্যকর উপায়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে সামনে এগোনো যায়, তা দেখা যাবে। অবশ্য তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেবে কি না, তার ওপর এটি নির্ভর করছে।

ফ্রান্সের পক্ষ থেকে খুব খারাপভাবে অভিবাসন পরিচালনার জন্য ব্রিটেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাখোঁ বলেছেন, ‘অভিবাসন সমস্যা ব্যবস্থাপনার জন্য বরিস জনসনের টুইটটি হালকাভাবে করা হয়েছে। তিনি বলেন, যখন কোনো কাজ গুরুত্বসহকারে করা হয় না, তখন তা দেখে আশ্চর্য হই। আমরা টুইট বা প্রকাশিত চিঠি দিয়ে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি না। আমরা হুইসেল ব্লোয়ার নই।’

এদিকে লন্ডনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্যারিস বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।

যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেন, ‘কোন জাতি একা এটা মোকাবিলা করতে পারে না এবং তাই আমি আশা করি ফরাসিরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।’