বাইডেনের জয়ে পুতিন ‘চুপ’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ছবি: রয়টার্স

এখন পর্যন্ত কোনো টুইট নেই। নেই টেলিফোন কল। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে টেলিগ্রামও করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন বিজয়ী হওয়ার ঘটনায় ক্রেমলিন এখন পর্যন্ত নীরব।

গত শনিবার নিশ্চিত হয়ে যায়, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এ খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই বাইডনেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এখন পর্যন্ত বাইডেনকে অভিনন্দন জানাননি। বাইডেনের জয়ের ব্যাপারে প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে তিনি বা তাঁর সরকার এখন পর্যন্ত চুপ আছে।

তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি একেবারে ‘চুপ’ নেই। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির সবচেয়ে আলোচিত-বিতর্কিত সংবাদ উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভ মার্কিন নির্বাচন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন।

দিমিত্রি কিসেলভ তাঁর সাপ্তাহিক নিউজ শোতে দর্শকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থা ডাইনোসরের মতো সেকেলে। আমি এটাকে গণতান্ত্রিক বলতে পারি না।’

রুশ সংবাদ উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভ
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

দিমিত্রি কিসেলভ আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের দ্বারা গণহারে ভোট কারচুপির কথা বলেছেন। তিনি বলছেন, তাঁর কাছ থেকে জয় কেড়ে নিতে প্রতারণামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ট্রাম্প যে তাঁর অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি, সে কথা এড়িয়ে যান উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভ।

পশ্চিমাবিরোধী অবস্থানের জন্য সংবাদ উপস্থাপক দিমিত্রি কিসেলভের নাম রাশিয়ায় বেশ আলোচিত।

দিমিত্রি কিসেলভের সবশেষ মন্তব্যকেও ‘বিতর্কিত’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন। দিন কয়েক আগে হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট গণনা নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছিলেন। এ সময় বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল একযোগে তাঁর বক্তব্য সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন দিমিত্রি কিসেলভ।

দিমিত্রি কিসেলভ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা আমাদের শেখানোর চেষ্টা করেছিল। এখন সেই শিক্ষকই তালগোলের মধ্যে।’

বিবিসি বলছে, দিমিত্রি কিসেলভের এসব বক্তব্যের উদ্দেশ্য মার্কিন গণতন্ত্রকে খোটা করে দেখানো। অন্যদিকে রাশিয়ার নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে ভালো, সে সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করা।