বুকার পেলেন ডগলাস স্টুয়ার্ট

স্কটিশ-আমেরিকান লেখক ডগলাস স্টুয়ার্ট
ছবি : রয়টার্স

চলতি বছরে ‘শুগি বেইন’ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার জিতেছেন স্কটিশ-আমেরিকান লেখক ডগলাস স্টুয়ার্ট। ৪৪ বছর বয়সে তিনি এ পুরস্কার পেলেন। এটা তাঁর প্রথম উপন্যাস।

উপন্যাসটিতে লেখকের নিজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে আশির দশকের গ্লাসগোতে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা একটি ছেলের কাহিনি। সেই ছেলের মা মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্টুয়ার্ট নিজের সম্পর্কে দেওয়া বর্ণনায় লিখেছেন, শ্রমজীবী পরিবারের শিশু যার জীবনযাপন ছিল ভিন্ন রকমের। সেই শিশুই একসময় লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হয়। দ্বিতীয় স্কটিশ হিসেবে ৫০ হাজার ডলারের এই পুরস্কার পেলেন তিনি।

‘শুগি বেইন’ বইটি কিশোর শুগিকে উপজীব্য করে লেখা
ছবি : রয়টার্স

এর আগে ১৯৯৪ সালে ‘হাউ লেট ইট ওয়াজ, হাউ লেট’ বইটির জন্য বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন জেমস কেলম্যান। ওই বইটি সম্পর্কে স্টুয়ার্ট বলেন, কেলম্যানের বইটি তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল। কারণ প্রথমবার তিনি নিজের মানুষ ও তাদের কথা বইয়ের পৃষ্ঠায় দেখতে পেয়েছিলেন।

‘শুগি বেইন’ বইটি কিশোর শুগিকে উপজীব্য করে লেখা যে শিশু মাদকাসক্ত মায়ের যত্ন নেয়। বইটি নিজের মাকে উৎসর্গ করেছেন স্টুয়ার্ট। তাঁর বয়স যখন ১৬ তখন তাঁর মা মারা যান।

পুরস্কার জেতার প্রতিক্রিয়ায় স্টুয়ার্ট হতবাক হয়েছেন। নিজের মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বইয়ের প্রতিটি পাতায় মা সম্পর্কে আমি পরিষ্কার করে বলেছি। তাঁকে ছাড়া আমি এখানে আসতে পারতাম না। আমার কাজ এখানে পৌঁছাত না।

স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডবাসীকেও ধন্যবাদ জানান বিশেষ করে গ্লাসগোর অধিবাসীদের। তিনি বলেন, গ্লাসগোবাসীর সহানুভূতি, রসবোধ, প্রেম এবং সংগ্রাম এই বইয়ের প্রতিটি শব্দেই রয়েছে।

বিবিসি জানায়, গ্লাসগোতে বেড়ে ওঠা স্টুয়ার্ট এখন নিউইয়র্কে বসবাস করেন। ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা স্টুয়ার্ট এ বছরেই তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘লক অ’ শেষ করেছেন, যার পটভূমি গ্লাসগো ঘিরেই গড়ে উঠেছে।

যুক্তরাজ্য প্রতিবছর সাহিত্যে ‘ম্যান বুকার’ পুরস্কার দেয়। ইংরেজি ভাষায় লেখা সেরা মৌলিক উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।