রাশিয়ার বাইরে রুশ টিকার প্রয়োগ শুরু

রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা স্পুতনিক-ভি
ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা ‘স্পুতনিক-৫’ দিয়ে আজ মঙ্গলবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইউরোপের দেশ বেলারুশ। রাশিয়ার বাইরে ‘স্পুতনিক-ভি’ ব্যবহারকারী প্রথম দেশ হিসেবে বেলারুশ মস্কোর তৈরি টিকার ব্যবহার শুরু করল।

৯৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ বেলারুশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ১ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্পুতনিক-ভি টিকার পেছনে অর্থায়ন করা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) বলেছে, ‘আজ বেলারুশে টিকার প্রথম চালান পৌঁছেছে।’

তবে দেশটিতে কত ডোজ টিকা গেছে, সে তথ্য প্রকাশ করেননি আরডিআইএফের মুখপাত্র আর্সেনি পালাগিন।

বেলারুশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিমিত্রি পিনেভিস বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষকেরা বেলারুশে সবার আগে টিকা পাবেন।

রাশিয়া ও বেলারুশের যৌথ বিবৃতি হিসেবে পিনেভিস বলেছেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে সক্রিয় পারস্পরিক কাজ এবং কৌশলগত সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।’

আরডিআইএফের মহাসচিব কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছেন, লজিস্টিক কার্যক্রম সহজ ও টিকা কর্মসূচিতে গতি আনতে সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে স্পুতনিক-ভি টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।

গত আগস্ট মাসে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে করোনার টিকার নিবন্ধনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত যুগের কৃত্রিম উপগ্রহের নামে টিকার নামকরণ করা হয়। তবে টিকাটি অনুমোদনের আগে বড় আকারের পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

দ্রুতগতিতে টিকাটির অনুমোদন দেওয়ায় পশ্চিমা ও রাশিয়ার বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এ নিয়ে উদ্বেগ জানান। অনেক সমালোচক একে রাশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেন।