বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

ভিক্টর বাবারিকো।
ছবি: এএফপি

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সাবেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমালোচক ভিক্টর বাবারিকোকে ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ সাজা ঘোষণা করেন। খবর এএফপি ও বিবিসির।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাবারিকোকে ৪৫ হাজার ইউরো (৫৩ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তিনি ভবিষ্যতে সরকারের জ্যেষ্ঠ কোনো পদে থাকতে পারবেন না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। একই মামলায় অপর সাত আসামিকে তিন থেকে সাত বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে বাবারিকো আদালতে আপিল করতে পারবেন না বলে খবর বেরিয়েছে।

মামলায় বাবারিকোর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। তবে এসব অস্বীকার করে বাবারিকো জানান, গত বছরের সাধারণ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল। সেগুলোতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হয়েছে।

ভিক্টর বাবারিকো একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তাঁকে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী একজন প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছিল। তবে এর আগেই গত বছরের জুনে বাবারিকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে সে সময় বেলারুশজুড়ে বেশ কয়েক মাস বিক্ষোভ চলে।

বাবারিকোকে গ্রেপ্তারের পর সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিন নারী। তাঁদের মধ্যে মারিয়া কোলেসনিকোভাও এখন কারাগারে রয়েছেন। নির্বাচনে অপর প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্ভেতলানা টিখানোভসকিয়াকে পাঠানো হয় নির্বাসনে। দেশটিতে লুকাশেঙ্কোর বিরোধিতাকারী অনেককেই কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে বা নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন লুকাশেঙ্কো। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। একই কারণে তাঁর সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমা সরকারগুলোও।

গত বছর বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনে নিজেকে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী বলে দাবি করেন লুকাশেঙ্কো। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বেলারুশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দেশব্যাপী প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ থেকে সে সময় কয়েক শ বিরোধী নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।