বড়দিন ও নববর্ষকে কেন্দ্র করে ইতালিতে লকডাউন

শহরের রাস্তায় মাস্ক পরে হাঁটছেন লোকজন। রোম, ইতালি, ১৮ ডিসেম্বর
ছবি: রয়টার্স

বড়দিনের উৎসব এবং নতুন বর্ষবরণ সামনে রেখে ইতালিতে আবারও লকডাউন জারি করছে কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।

সরকারি ছুটির দিনগুলোয় রেড জোনের আওতায় থাকবে পুরো ইতালি। এ সময় অপরিহার্য নয় এমন দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ও পানশালা বন্ধ থাকবে।

শুধু কাজের খাতিরে বা স্বাস্থ্য ও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারবে। এ ছাড়া সীমিত পরিসরে লোকজন একে অন্যের বাড়িতে যেতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে।

রেড জোনের আওতায় এই বিধিনিষেধ ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি ও ৫ থেকে ৬ জানুয়ারি বহাল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে লোকজন কেবল কাজের প্রয়োজনে, স্বাস্থ্যগত ও জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেছেন, দেশজুড়ে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত খুব সহজ ছিল না। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা খুবই উদ্বিগ্ন যে ক্রিসমাসের মধ্যে দেশজুড়ে সংক্রমণ এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। সে কারণেই আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।’

ইউরোপে এখন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই হয়তো ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ

রেড জোনের আওতায় এই বিধিনিষেধ ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি ও ৫ থেকে ৬ জানুয়ারি বহাল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে লোকজন কেবল কাজের প্রয়োজনে, স্বাস্থ্যগত ও জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।

তবে কন্তে বলেন, এই বিধিনিষেধের মধ্যেও সর্বোচ্চ দুজন অতিথি কারও বাড়িতে আসতে পারবেন। তবে তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কম বয়সী কেউ থাকতে পারবে না। এ ছাড়া রাত ১০ থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি রয়েছে।

২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হবে। এ সময় লোকজন বাইরে যেতে পারবে। তবে রেস্তোরাঁ ও পানশালা বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। চিগি প্যালেস, রোম, ইতালি, ১৮ ডিসেম্বর
ছবি: রয়টার্স
এ সময় সামাজিকতা যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুই করার সুযোগ রেখে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে
জুসেপ্পে কন্তে

লোকজন নিয়ম মানছে কি না, তা দেখার জন্য বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কন্তে জনগণকে নিজ স্বার্থে ও দায়িত্ববোধ থেকে নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান।