মস্কোয় পা রাখামাত্র আটক নাভালনি

মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে অ্যালেক্সি নাভালনিকে আটক করে রুশ পুলিশ
ছবি: রয়টার্স

বার্লিন থেকে মস্কোয় ফেরামাত্র আটক হলেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

১৭ জানুয়ারি মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে আসার পর ৪৪ বছর বয়সী নাভালনিকে আটক করে রুশ পুলিশ।

বার্লিন থেকে আসা উড়োজাহাজটির মস্কোর আরেকটি বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। নাভালনিকে দেখতে সেখানে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে বহনকারী ফ্লাইটটি শেষ পর্যন্ত সেখানে অবতরণ না করে শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

নাভালনিকে আটকের নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল। গতকালই তিনি এই নিন্দা জানান। নাভালনিকে আটক করা অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। নাভালনিকে দ্রুত ছেড়ে দিতে রুশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত নাভালনি। তিনি মস্কোয় ফেরামাত্র আটক বা গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল রুশ কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়ার কারা বিভাগ জানিয়েছিল, জালিয়াতির মামলায় ২০১৪ সালের স্থগিত দণ্ডের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য মস্কোতে আসামাত্র নাভালনিকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে।

আটক বা গ্রেপ্তারের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই রাশিয়ায় ফেরেন নাভালনি। নাভালনি রাশিয়ায় ফৌজদারি অপরাধের মামলারও মুখোমুখি হতে পারেন।

নাভালনি ও তাঁর সহযোগীরা রুশ কর্তৃপক্ষের এসব পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করছেন।

গত বছরের আগস্টে সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে মস্কোয় যাওয়ার পথে উড়োজাহাজে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। প্রথমে তাঁকে সাইবেরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য জার্মানির বার্লিনে যান।

নাভালনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। বার্লিনে চিকিৎসা নিয়ে ধীর ধীরে সেরে ওঠেন তিনি। মাস কয়েক বার্লিনে থাকার পর নিজ দেশ রাশিয়ায় ফিরলেন তিনি।

নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, নাভালনিকে সোভিয়েত আমলে তৈরি নার্ভ এজেন্ট নোভিচক প্রয়োগ করা হয়েছিল।

নাভালনি ও তাঁর সহযোগীদের অভিযোগ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তাঁকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

তবে নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন।