রহস্যময় সুড়ঙ্গ

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে তার বসানোর জন্য কাঠের তৈরি একটি খুঁটি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই খুঁটি সরাতে গিয়েই পাওয়া গেছে শতাব্দীপ্রাচীন এক রহস্যময় সুড়ঙ্গ। জানা গেছে, সুড়ঙ্গটি ১২ শতকে তৈরি। তবে ১৭ শতকের পর থেকে স্থানীয় কোনো মানচিত্রে এর উল্লেখ নেই। মূলত এ কারণেই সুড়ঙ্গটিকে রহস্যময় বলা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের মনমাউথশায়ারের টিনট্রেন এলাকায়। সেখানে খনন করতে গিয়ে খোঁজ পাওয়া গেছে পুরোনো সুড়ঙ্গটির। মনমাউথশায়ার এলাকাটি বেশ পুরোনো। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন স্থাপনা। তবে নতুন আবিষ্কৃত সুড়ঙ্গটির অস্তিত্ব সরকারি নথিতে ছিল না। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার টানার কাজে কর্মীরা শুরুতে একটি জলাধারের পাশে গাছপালায় ঘেরা হাঁটার পথে খনন শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা হঠাৎ একটি সুড়ঙ্গ দেখতে পান। এটি প্রায় চার ফুট চওড়া।

১৭ শতকের পর থেকে এখানকার সরকারি কোনো নথি কিংবা মানচিত্রে সুরঙ্গটির অস্তিত্ব নেই। সব নথিতেই পুরো এলাকাটিকে জনশূন্য ও পরিত্যক্ত উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন আবিষ্কার হওয়া সুড়ঙ্গটি মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

খননকাজে নিযুক্ত অ্যালেন গোরি বলেন, ‘কাজ শুরুর আগে আমরা প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করেছি। নথি যাচাই করেছি, মানচিত্র দেখেছি। তবে কোনো নথিতে এ এলাকায় সুড়ঙ্গটির উল্লেখ নেই। আমাদের খননকর্মীরা যুগান্তকারী এ আবিষ্কার করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে খননকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রহস্যময় সুরঙ্গটির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ওয়েলস সরকারের হিস্টোরিক অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ সার্ভিসের পক্ষ থেকে নতুন আবিষ্কার হওয়া সুড়ঙ্গটি পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। তবে এটি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অধীনে আরও খননের প্রয়োজন হবে।

অ্যালেন আরও জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের কাছাকাছি যতটুকু খনন করা হয়েছিল, তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের তদন্তের সুবিধার্থেই এ কাজ করা হয়েছে। আর এ তদন্ত শেষ হতে বছরখানেক সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।