রাশিয়া নিয়ে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ: হিলারি

মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান নিয়ে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ইউক্রেনে রুশ হামলার বিষয়ে ভবিষ্যতে ভারতের ভুল ভাঙবে, তারা উপলব্ধি করতে পারবে বলেও মনে করছেন তিনি।

রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুতনিক নিউজের খবরে বলা হয়, শুক্রবার ভারতের টাইমস নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন হিলারি ক্লিনটন।  

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তবে রাশিয়ার অভিযানের নিন্দা জানায়নি ভারত, চীনসহ কয়েকটি দেশ। এমনকি রাশিয়ার থেকে মূল্যছাড়ে জ্বালানি তেল আমদানি করছে দিল্লি।

ইউক্রেন হামলার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো যে অবস্থান নিয়েছে, সে কাতারে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে উল্লেখ করেন হিলারি। তিনি বলেন, সবার স্বার্থে রাশিয়া ও চীনের আগ্রাসন বন্ধে এ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

হিলারি বলেন, ‘এটা সামনে আনা জরুরি যে (ইউক্রেন ইস্যুতে) একটি দেশ হিসেবে ভারতের অবস্থানের গুরুত্ব রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক অভিযান যে পুরোপুরি ভুল, তা পরিষ্কার করতে ভারত দৃঢ় হবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করছি।’

ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান অনুসরণে ভারতকে রাজি করানোর জন্য চার দেশীয় কৌশলগত জোট কোয়াডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হিলারি। ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র কোয়াডের সদস্য। ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন কোয়াডের অংশ। আমি আগেও বলেছি যে আপনারা পূর্বের দেশগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমাদের দিকেও নজর রাখবেন।’

এদিকে ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর রাশিয়া থেকে দেড় কোটি ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করেছে ভারত। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ভারত সরকার।

আলোচনা সভায় ভারতের তেল আমদানি নিয়ে কথা বলেছেন হিলারি। সেখানে তেলের জন্য রাশিয়ার ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতাকে বড় সমস্যা বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

তেল আমদানি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার ওপর জোর দিচ্ছি। জ্বালানির আমদানি বেড়েছে কী কমেছে, সে সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমরা রাশিয়া থেকে খুবই অল্প পরিমাণ তেল আমদানি করি। আর বলতে গেলে কোনো গ্যাস আমদানি করা হয় না।’