রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্ক

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে সাঁজোয়া যানে রুশ–সমর্থিত বাহিনীর সদস্য
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্লোভিয়ানস্ক দখলকে পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছে রাশিয়া। শহরটিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে রুশ বাহিনী। পূর্বাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং দনবাস অঞ্চলের বাহিনীগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবে শহরটি দখল করতে চায় তাঁরা। চিন্তক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার এক পর্যালোচনায় এমন দাবি করেছে। খবর বিবিসির।

এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ইজিউম থেকে অগ্রসর হওয়া রুশ বাহিনীর স্লোভিয়ানস্ক দখলের প্রচেষ্টা ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী মূল লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। রুশরা অবশ্যই ‘ন্যূনতম পদক্ষেপের অংশ হিসেবে স্লোভিয়ানস্কের’ নিয়ন্ত্রণ নেবে।

যদি তারা এটা করতে না পারে, তাহলে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল দখলে তাদের প্রচেষ্টা সম্ভবত ব্যর্থ হবে। এসব অঞ্চলে হামলায় রুশ বাহিনী সামান্য অগ্রগতি ধরে রেখেছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনারা এখনো মারিউপোল শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন। তাঁরা রুশ বাহিনীকে ব্যাপক হতাহতের মুখে ফেলছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রিজার্ভ সদস্যদের দিয়ে হতাহত সদস্যদের স্থান পূরণ আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিটগুলোকে পূর্বাঞ্চলের ফ্রন্টলাইনে হামলায় কাজে লাগানোর রাশিয়ার প্রচেষ্টা তাঁদের সফলতা বাড়াতে কাজে আসবে বলে মনে হয় না।

রুশ বাহিনী উত্তরে চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চল থেকে সরে গেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তারা এই অঞ্চলগুলো পুরোপুরি ছেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকেও ইতিমধ্যে সরে গেছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলা আজ মঙ্গলবার ৪১তম দিনে গড়িয়েছে। ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানে কিয়েভের পদক্ষেপ নিজেদের নিরাপত্তা জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে এই হামলা শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে রাজধানী কিয়েভকে প্রায় তিন দিক থেকে ঘিরে ফেললেও ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে রুশ বাহিনী।

বর্তমানে উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে শক্তি বাড়াচ্ছে রুশ বাহিনী। পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকেরা দাবি করছেন, এই যুদ্ধের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এগিয়ে যাচ্ছে।