রাশিয়ায় তৃতীয় টিকার অনুমোদন

করোনার টিকা পরীক্ষা করছেন গবেষকেরা
প্রতীকী ছবি : রয়টার্স

স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য করোনাভাইরাসের তৃতীয় টিকার অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। টিকাটির নাম কোভিভ্যাক। এটি তৈরি করেছে চুমাকভ সেন্টার। গতকাল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিন টিকার অনুমোদনের কথা জানান। অনুমোদন দেওয়া হলেও টিকাটির এখনো বড় আকারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়নি।

রাশিয়া ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে একটি মস্কোর গামেলিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুতনিক-ভি ও আরেকটি সাইবেরিয়ার ভেক্টর ইনস্টিটিউটের ‘এপিভ্যাককরোনা’। এর আগে স্পুতনিক-ভি টিকাটির ক্ষেত্রে বড় আকারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করার আগেই তা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ টিকার অনুমোদন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে উদ্বেগ তৈরি হয়। গত আগস্ট মাসে টিকাটি অনুমোদনের পর সেপ্টেম্বরে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়।

টিকাটির প্রাথমিক পরীক্ষায় ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকারিতার ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ডিসেম্বরে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাস্কো বলেন, ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি মানুষ স্পুতনিক-ভি টিকাটির প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। ভেক্টর ইনস্টিটিউটের তৈরি দ্বিতীয় টিকাটির প্রয়োগও শুরু হয়েছে সেখানে। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিশুসতিন বলেন, বিশ্বে রাশিয়া একমাত্র দেশ, যাদের কাছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তিনটি টিকা আছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চুমাকভ সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আইদার ইশমুখামেতভ বলেন, ‘কোভিভ্যাক টিকাটি ইনঅ্যাক্টিভেটিভ করোনাভাইরাস থেকে তৈরি। এটি প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে না।’ টিকাটির কার্যকারিতা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি করোনাভাইরাসের যেকোনো ধরনের বিরুদ্ধেই ব্যাপক কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সোমবার রাশিয়ার টিকাগুলো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, তা খতিয়ে দেখে ১৫ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।