রুশ টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুতিনের
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর দেশে উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘স্পুতনিক-৫’ নেবেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল রোববার রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে এ কথা জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তিনি (পুতিন) বলেছেন, করোনার টিকা নেবেন। তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার অপেক্ষোয় তিনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়া ‘স্পুতনিক-৫’ টিকা দেওয়ার ঐচ্ছিক কর্মসূচি শুরু করে। মস্কোয় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোকে দিয়ে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
মস্কোর মেয়র সেরগেই সোবিয়ানিন গতকাল রোববার তাঁর ওয়েবসাইটে জানান, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের আজ সোমবার থেকে করোনার এই টিকা দেওয়া হতে পারে।
মস্কোর মেয়রের এই ঘোষণার আগের দিন রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পৃথক ট্রায়ালের পর বয়স্ক ব্যক্তিদের করোনার টিকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৬৮ বছর বয়সী পুতিন আগে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকা গ্রহণ না করার কোনো কারণ তিনি দেখেন না।
রাশিয়ায় করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে পুতিন মূলত ভার্চ্যুয়ালি কাজ করছেন। তিনি তাঁর সভা-নির্দেশনাসহ বিভিন্ন কাজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারছেন। তিনি বাইরে কম বের হচ্ছেন।
গত আগস্টে পুতিন জানান, তাঁর এক মেয়ে করোনার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার পর তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি।
গত আগস্টে রাশিয়া ‘স্পুতনিক-৫’ টিকার অনুমোদন দেয়। এটি বিশ্বে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনার টিকা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি রাশিয়া করোনার দ্বিতীয় টিকার অনুমোদন দেয়। দ্বিতীয় টিকাটির নাম ‘এপিভ্যাককরোনা’। পরে তৃতীয় টিকার নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানায় রাশিয়া।
রাশিয়ার ভাষ্য, তাদের উদ্ভাবিত ‘স্পুতনিক-৫’ টিকাটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
তবে পরীক্ষার সব ধাপ শেষ না করেই অনুমোদন দেওয়ায় রাশিয়ার করোনার টিকা নিয়ে পশ্চিমা গবেষকদের মধ্যে সন্দেহ আছে।