লম্বা নাকের নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান
প্রায় চার দশক আগে সন্ধান মিলেছিল ডাইনোসরের হাড়গোড়। এত দিন তা জাদুঘরে পড়ে ছিল। এখন গবেষণা করে দেখা গেছে, এগুলো নতুন এক প্রজাতির ডাইনোসরের হাড়। এর আগে যেসব ডাইনোসরের ফসিলের সন্ধান মিলেছে, সেগুলোর সঙ্গে এর মিল নেই। এটির নাক আগে সন্ধান পাওয়া প্রজাতিগুলোর তুলনায় বেশ লম্বা।
নতুন এই প্রজাতির সন্ধান মিলেছে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ উপকূলের ইসলে অব রাইট দ্বীপে। সেখানে প্রজাতিটি শনাক্ত করেন পিএইচডির শিক্ষার্থী জেরেমি লকউড। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে গবেষণা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাইনোসরের হাড়গুলো ১৯৭৮ সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল। সেগুলো লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও ইসলে অব রাইট দ্বীপের ডাইনোসর জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল। জেরেমি চার বছর ধরে এসব হাড়গোড় নিয়ে গবেষণা করছেন। করোনার বিধিনিষেধ চলাকালে খণ্ড খণ্ড হাড়গুলো পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করে তিনি দেখতে পান, এটি আগে সন্ধান পাওয়া প্রজাতির চেয়ে ভিন্ন।
নতুন প্রজাতির এই ডাইনোসর লম্বায় প্রায় আট মিটার। ওজন আনুমানিক ৯০০ কিলোগ্রাম। জেরেমি নতুন এই প্রজাতির নাম রেখেছেন ব্রাইস্টোনেয়াস সিমোনদসি। তাঁর এই গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অব সিস্টেমেটিক প্যালায়েনতোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে।
এই বিষয়ে জেরেমি বলেন, ‘এক শতকের বেশি সময় ধরে আমরা জানি ডাইনোসর মূলত দুই প্রজাতির। এগুলোর ২৩ কিংবা ২৪টি দাঁত রয়েছে। তবে নতুন এই প্রজাতির দাঁতের সংখ্যা ২৮। এটির নাকের আকারও বেশ বড় ও লম্বা। ছোট এই পার্থক্যগুলো নতুন প্রজাতিটিকে আগেরগুলোর থেকে আলাদা করেছে।
উচ্ছ্বসিত জেরেমি আরও বলেন, ‘বিধিনেষেধের মধ্যে এর চেয়ে ভালো আবিষ্কার আর হয় না। নতুন এই প্রজাতি এটাই ইঙ্গিত করে যে আমাদের জানার বাইরেও একসময় বিশ্বে আরও প্রজাতির ডাইনোসর ছিল।’