সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে...

ইতালীয় পরিবারটিকে বাঁচাতে উদ্ধারকাজ চলছে।
ইতালীয় পরিবারটিকে বাঁচাতে উদ্ধারকাজ চলছে।

ইতালির নেপলসের কাছে সলফাতারায় বেড়াতে গিয়েছিল পরিবারটি। দুই সন্তান নিয়ে মা-বাবা ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন পজ্জুওলি আগ্নেয়গিরি। হঠাৎ করেই ১১ বছর বয়সী বড় ছেলেটি হাঁটতে হাঁটতে ঢুকে যায় ‘বিপজ্জনক’ নোটিশ টাঙানো নিষিদ্ধ এলাকায়। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে পড়ে যায় সে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান মা-বাবা। নিহত হন তিনজনই।

ইতালিয়ান বার্তা সংস্থা এএনএসএর বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ১১ ও ৭ বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে তুরিন থেকে নেপলস ভ্রমণে গিয়েছিল তিজিয়ানা জারামেল্লা ও মেসিমিলিয়ানো দম্পতি। বড় ছেলে লরেঞ্জ হাঁটতে হাঁটতে নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে ১০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায়। সে সময় বাবা-মা ছেলেকে নিরাপদে সরিয়ে আনার চেষ্টা করতেই জ্বালামুখের ওপরের আস্তর ধসে পড়ে। তাঁরাও গর্তে পড়ে যান।

তবে গর্তে পড়ে যাওয়ার পর কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গরম কাঁদা অথবা সালফারযুক্ত গ্যাসে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ওই দম্পতির আরেকটি ছেলে নিরাপদে আছে। পরিবারের সদস্যরা আসা না পর্যন্ত তাকে সমাজকর্মীদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

নেপলসের পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম আগ্নেয়গিরি সলফাতারা অব পজ্জুওলি পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। এটির অগভীর জ্বালামুখ সালফার গ্যাসে ভর্তি এবং সেখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হয়।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পজ্জুওলির মেয়র।