সরকারবিরোধী আন্দোলনে বেলারুশে অস্থিরতা বাড়ছে

৯ আগস্ট বেলারুশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো পুনর্নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী সমর্থকেরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। ছবি: রয়টার্সছবি: রয়টার্স

বিবিসির প্রতিবেদনে বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, অন্তত ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত ‘ইন্ডিপেনডেন্ট স্কয়ার’-এ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রেখেছে বেলারুশ পুলিশ।
গেল ৯ আগস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই সেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। ৯ আগস্ট বেলারুশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। নির্বাচনের এই ফল প্রত্যাখ্যান করেন বিরোধী নেতা সভেতলানা তিখানভস্কায়া। নির্বাচনের পরের দিনই তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমি নিজেকে নির্বাচনে বিজয়ী বলে মনে করি।’

বিরোধী নেতার এ ঘোষণার পর বহু লোক রাস্তায় নেমে আসে। উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটির রাজধানী। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সহস্রাধিক বিক্ষোভকারীকে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহলও। এ দিকে এই বিক্ষোভকারীদের ভিন্ন দেশ নিয়ন্ত্রিত ‘ভেড়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে জ্বালানি তেল রপ্তানি রুটে বেলারুশ রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনাতেও দেশটি মস্কোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন