২২ কর্নেল, ২৭ লে. কর্নেল ও ১৯ বেসামরিক ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ

তুরস্কে অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ট্যাংকের ওপর সরকারপন্থীদের অবস্থান। আঙ্কারা, ১৬ জুলাই, ২০১৬। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কে অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ট্যাংকের ওপর সরকারপন্থীদের অবস্থান। আঙ্কারা, ১৬ জুলাই, ২০১৬। ছবি: রয়টার্স

তুরস্ক আরও ৬৮ ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিই সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। অভিযোগ, এই ব্যক্তিরা ২০১৬ সালে দেশটিতে সংগঠিত ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ব্যক্তিদের আটক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২২ জন কর্নেল, ২৭ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক।

তুরস্কের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি বলেন, যে ব্যক্তিদের আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ওই সেনা অভ্যুত্থানের সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা গুলেনের সঙ্গে ওই সময় ল্যান্ড ফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ওই ফোন যোগাযোগের প্রমাণ রাষ্ট্রের কাছে রয়েছে।

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অভ্যুত্থান-চেষ্টার পরপরই ১৯ সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। তাঁরা ঘটনার সময় রাজধানী আঙ্কারাসহ ১৯টি প্রদেশে সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। এই কর্মকর্তারা অভ্যুত্থান-চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর গত মার্চে তুরস্কে ব্যাপক ধরপাকড়ের বিষয়ে তথ্য দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই ওই অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির সরকার ১ লাখ ৬০ হাজার বেসামরিক এবং প্রায় সমসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। যাঁদের বিচারের জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।

সমালোচকেরা শুরু থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সমালোচনা করে আসছেন। তাঁরা বলছেন, এরদোয়ান সরকার বিরোধী মত দমনে ব্যস্ত। তবে সরকার বলছে, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।