বিশ্বের প্রথম থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ

কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে রকেট টেরান-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল
ছবি: রিলেটিভিটি স্পেসের সৌজন্যে

প্রায় সম্পূর্ণরূপে থ্রিডি-প্রিন্টেড যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি রকেট টেরান-১ গত বুধবার রাতে উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে তিনবারের চেষ্টায় উৎক্ষেপণ সফল হলেও কক্ষপথে পৌঁছাতে পারেনি রকেটটি।

রকেটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের রিলেটিভিটি স্পেস জানিয়েছে, ছয় বছর আগে তৈরি কোম্পানির প্রথম মেটাল থ্রিডি–প্রিন্ট ছাড়া পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটে আর কিছুই ছিল না। উদ্ভাবনকারীরা রকেটটিকে ১২৫ মাইল উঁচু কক্ষপথে স্থাপন করতে চেয়েছিল, তবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছানোর আগেই রকেটের ওপরের অংশে আগুন ধরে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করার পর প্রথম ধাপে রকেটটি ঠিকঠাকই কাজ করেছিল। কিন্তু এর পরই ওপরের অংশে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়, তারপর বন্ধ হয়ে আটলান্টিকে ধসে পড়ে।

রিলেটিভিটি স্পেসের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আরওয়া তিজানি ক্যালি বলেন, ‘কেউ কখনো থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে পাঠানোর চেষ্টা করেনি। আমরা হয়তো পুরোপুরি সফল হইনি, তবে প্রমাণ করতে পেরেছি যে থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট ওড়ানো সম্ভব।’

রকেট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রিলেটিভিটি স্পেস বলেছে, থ্রিডি-প্রিন্টেড ধাতব অংশগুলো দিয়ে টেরান-১ রকেটের ৮৫ শতাংশ তৈরি হয়েছে। রকেটের বড় সংস্করণে আরও বেশি কিছু থাকবে এবং একাধিক ফ্লাইটের জন্য বারবার ব্যবহার করা হবে।

২০১৫ সালে দুজন তরুণ মহাকাশ প্রকৌশলী রিলেটিভিটি স্পেস তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে।