রুশ পোতেমকিন যুদ্ধজাহাজে বিদ্রোহ

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৭ জুন। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

রাশিয়ার পোতেমকিন যুদ্ধজাহাজে বিদ্রোহ হয়েছিল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার পোতেমকিন যুদ্ধজাহাজের ক্রুরা ১৯০৫ সালের ২৭ জুন জাহাজটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। পরে রুশ কর্তৃপক্ষ জাহাজে পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর এর নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম দেওয়া হয় পেনতেলেইমোন।

পোতেমকিন যুদ্ধজাহাজের এ ঘটনাকে রুশ বিপ্লবের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরে ১৯১৭ সালে ঐতিহাসিক রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই যুদ্ধজাহাজ ১৯২০ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ ১৯২৩ সালে জাহাজটি ভেঙে ফেলে।

ইয়েনের ব্যবহার শুরু

জাপানের মুদ্রার নাম ইয়েন। ১৮৭১ সালের এদিনে জাপান সরকার প্রথমবারের মতো ইয়েন ব্যবহারের ঘোষণা দেয়। প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থায় সংস্কার আনা ও সহজ করার জন্য জাতীয় মুদ্রা হিসেবে ইয়েনের ব্যবহার শুরু হয়।

জাপানি মুদ্রা ইয়েন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

নৌকায় চড়ে বিশ্ব ভ্রমণ

কানাডায় জন্ম নেওয়া মার্কিন অভিযাত্রী জোশুয়া স্লোচাম। ১৮৯৮ সালের এদিনে তিনি অনন্য একটি কীর্তি গড়েন। ‘স্প্রে’ নামে তাঁর একটি মাছ ধরার নৌকা ছিল। ওই নৌকায় চেপে তিনি একা একা বিশ্ব ভ্রমণ করেন। ইতিহাসে জোশুয়া প্রথম ব্যক্তি, যিনি নৌকায় চেপে বিশ্ব ঘুরেছেন।

মোটরসাইকেল নিয়ে কসরত দেখাচ্ছেন টম পেজেস
ফাইল ছবি: রয়টার্স

মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে মোটরসাইকেল চালানো

ফরাসি টম পেজেস মোটরসাইকেল নিয়ে নানা কসরত দেখান। এ বিষয়ক প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নেন। ২০১৪ সালের এদিনে টমের মুকুটে নতুন একটি পালক যুক্ত হয়। প্রথমবারের মতো মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে মোটরসাইকেল নিয়ে কসরত দেখিয়ে সফল হন টম। এর মধ্য দিয়ে টম পেজেস রেড বুল এক্স-ফাইটার্স ফ্রি স্টাইল প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতে নেন।

কেঁচো বের করে বিশ্বরেকর্ড

সময়টা ২০০৯ সাল। সোফি স্মিথের বয়স তখন ১০ বছর। বাড়ি যুক্তরাজ্যে। ওই বয়সে অদ্ভুত একটি প্রতিযোগিতায় নাম লেখায় স্মিথ। প্রতিযোগিতাটি ছিল মাটি খুঁড়ে কেঁচো বের করার। নাম ওয়ার্ল্ড ওর্ম চার্মিং চ্যাম্পিয়নশিপ। এই কাজে রীতিমতো দক্ষ স্মিথ। মাত্র ৩০ মিনিট সময়ে সে ৫৬৭টি জীবন্ত কেঁচো বের করে ফেলে। এই ‘কীর্তির’ জন্য তাঁর নাম ওঠে বিশ্ব রেকর্ডের খাতায়। কেননা, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী স্মিথের আগে আর কোনো ব্যক্তি অল্প সময়ে এত বেশিসংখ্যক কেঁচো মাটি খুঁড়ে বের করতে পারেননি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন