যুক্তরাষ্ট্রের বেলুন ১০ বারের বেশি তাদের আকাশসীমায় ঢুকেছে

চীনের পূর্বাঞ্চলের শানদং প্রদেশের বন্দর নগরী কুইংদাওয়ের জলসীমায় রহস্যময় বস্তু উড়তে দেখা গেছে
প্রতীকী ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ‘অবৈধভাবে’ ১০ বারের বেশি তাদের আকাশসীমায় বেলুন উড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। আজ সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনটা দাবি করেছে। তবে তারা এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।

চীন তাদের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আকাশে উড্ডয়নকালে অজ্ঞাত বস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করার ঘোষণা দেয়। এর এক দিন হতে না হতেই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায় এমন দাবি করল।

আরও পড়ুন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের এক বিশাল বেলুন শনাক্ত হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।  

 আজ সোমবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিস দাবি করেন, অন্যান্য দেশের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের বেলুনের অনুপ্রবেশ ঘটানো খুব সাধারণ বিষয়। শুধু গত বছরই যুক্তরাষ্ট্রের বেলুন কোনো অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে চীনের আকাশসীমায় ১০ বারের বেশি অনুপ্রবেশ করেছে।

তবে চীন কেন এই বিষয়গুলো আগে প্রকাশ করেনি বা যখন অনুপ্রবেশ করেছিল বলে বলছে, তখন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।

ওয়াং আরও অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে প্রায়ই কাছাকাছি এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে। এর হিসাবও দেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় গত বছর ৬৫৭ বার এবং এ বছরের জানুয়ারিতে ৬৪ বার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ‘নিঃসন্দেহে নজরদারির ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরাধী এবং নজরদারির রাজত্ব গড়ে তুলেছে’ উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব প্রযুক্তিগত সুবিধার অপব্যবহার করে ব্যাপকভাবে ও নির্বিচারে টেলিফোনে আড়ি পেতে পুরো বিশ্বের গোপন তথ্য চুরি করে নিচ্ছে। এ থেকে বাদ যায়নি তাদের মিত্র দেশগুলোও।

৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র  নিজেদের আকাশে চীনের যে বেলুন ধ্বংস করেছে, সে সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াং এই মন্তব্য করেন।

চীনের সামরিক মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই ছয়টি প্রতিষ্ঠান সরকারের অনুমোদন ছাড়া মার্কিন প্রযুক্তি সুবিধা পাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে চীনের এই মুখপাত্র বলেন, ‘চীন এই সিদ্ধান্তে চরম অসন্তুষ্ট এবং চীন এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা চীনা উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

ওয়াং অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতিকে ‘অতিমাত্রায় অতিরঞ্জিত’ করছে এবং উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এটিকে ‘চীনা ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।

আরও পড়ুন