অনলাইন ক্লাসে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার

করোনাভাইরাস মহামারিতে অনলাইনেই চলছে স্কুলের পাঠদান। সেখানেই শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্কুল থেকেও বরখাস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ে।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে। চেন্নাইয়ের কেকে নগর এলাকায় খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেশাদ্রি বালা বিদ্যা ভবন স্কুলের কমার্স বিভাগের ৫৯ বছর বয়সী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনলাইন ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এমনকি মুঠোফোনে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েও শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করতেন তিনি।

ওই শিক্ষকের লেখা একটি খুদে বার্তার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হয়েছে। সেখানে শুধু তোয়ালে পরা অবস্থায় ওই শিক্ষককে দেখা গেছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ সংগ্রহ করেন কৃপালি নামের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন রেখে সেগুলো তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। তামিল সিনেমা জগতে মি টু আন্দোলনের জন্য পরিচিত মুখ সংগীতশিল্পী চিন্ময়ও ওই স্ক্রিনশটগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার দেন।

শিক্ষকের এসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন। এরপর সোমবার লোকসভার সদস্য কানিমোজি করুণানিধি বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ওই দিনই অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী আইনে মামলা হতে পারে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অনলাইনে যৌন উপাদান ছড়ানোর অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা প্রস্তুত করছে পুলিশ।