অবশেষে গঙ্গার পানি হলো গোসলযোগ্য

ভারতের এলাহাবাদে গঙ্গা নদী
ফাইল ছবি: রয়টার্স

গঙ্গা নদীর দূষণ রোধে গৃহীত ‘নমমি গঙ্গে’ প্রকল্প অবশেষে সুফল দিতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী গঙ্গার পানি অবশেষে গোসলযোগ্য হয়ে উঠেছে। তবে পানযোগ্য কি না, রিপোর্টে তা অনুচ্চারিত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুযায়ী ‘নমমি গঙ্গে’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সারা দেশে মোট ৩৬৪টি কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। মোট খরচ ৩০ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু সোমবার সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী গঙ্গার যেসব এলাকায় পানিদূষণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ করা গেছে।

মন্ত্রী বলেছেন, এক থেকে চতুর্থ পর্যায়ের দূষণ গঙ্গার কোনো স্থানেই এখন আর দেখা যাচ্ছে না। দুটিমাত্র স্থানে পঞ্চম পর্যায়ের দূষণ পরিলক্ষিত। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অনুযায়ী প্রথম পর্যায় সবচেয়ে দূষিত। তারপর দূষণের মাত্রা পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে। পঞ্চম পর্যায়ের দূষণ সবচেয়ে কম ও সহনীয়।

মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে ৩১ জায়গায়, জৈব অক্সিজেন চাহিদা বেড়েছে ৪৬ স্থানে এবং মলজনিত কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির উন্নতি হয়েছে ২৩ এলাকায়। মোট ৫ রাজ্যের ৯৭ এলাকায় গঙ্গার পানি নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কাজ করছে। তারই ভিত্তিতে বলা হয়েছে, গঙ্গার পানি এখন গোসলযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, ২০১৮–১৯ সালের মধ্যে গঙ্গার পানি সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করা হবে। তা হয়েছে কি না, সোমবারের রিপোর্টে সেই উল্লেখ নেই। ২০১৮–১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী অধিকাংশ স্থানে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গঙ্গার পানি গোসলের উপযুক্ত ছিল না, পানযোগ্য তো নয়ই।

কানপুর, বারানসি, প্রয়াগরাজ, কৌসাম্বি ও গাজীপুরের পানিতে মারণ ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল, উত্তরাখন্ডের রুদ্রপ্রয়াগ, দেবপ্রয়াগ ও হৃষিকেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ডহারবারের পানি একমাত্র গোসল ও পানের জন্য উপযুক্ত।