আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের ওপর হামলা

হত্যাকাণ্ডের পর উদয়পুরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে
ছবি: এএনআই  ফাইল ছবি

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের উদয়পুরে দরজি কানহাইয়া লালকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনদের ওপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার জয়পুরে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) একটি আদালতে হাজিরা শেষে বিক্ষুব্ধ লোকজনের ভিড় থেকে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। খবর এনডিটিভির।

গতকাল এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার সন্দেহভাজনকে আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। হাজিরা শেষে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা একটি প্রিজন ভ্যানে ওঠানোর জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎই উপস্থিত লোকজন তাঁদের ওপর হামলে পড়ে লাথি, থাপ্পড় ও গালি দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন

চার অভিযুক্ত ব্যক্তির একজনের জামাকাপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। কয়েকজন আইনজীবী স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘পাকিস্তান মুরদাবাদ’ এবং ‘কানহাইয়াকে হাতিয়ারো কো ফাঁসি দো’ (কানহাইয়ার খুনিদের মৃত্যুদণ্ড দিন)।

পুলিশ দ্রুত আসামিদের গাড়িতে তুলে ফেলে এবং সেখান থেকে সরে যায়। ৪৮ বছর বয়সী দরজি কানহাইয়া লাল গত মঙ্গলবার একটি জনাকীর্ণ বাজারে নিজের দোকানে হত্যার শিকার হন। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করেন দুই হামলাকারী। আরেকটি ভিডিওতে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হত্যার হুমকি দেন।

হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো পোস্ট করেন ওই দুই ব্যক্তি। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁরা গ্রেপ্তার হন। এ হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হত্যাকাণ্ডের আগে কানহাইয়া লালের দোকান ঘুরে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন

হত্যার শিকার হওয়ার কয়েক দিন আগে স্থানীয় পুলিশকে কানহাইয়া লাল বলেছিলেন, তিনি বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট দেওয়ায় হুমকিধমকি পাচ্ছিলেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি বহিষ্কৃত হন নূপুর শর্মা।

মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক রসায়নবিদকে হত্যার ঘটনাও তদন্ত করছে সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকেও নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার কারণে হত্যা করা হয়েছে।