আসাম-মেঘালয়ে বন্যায় ৩১ মৃত্যু, আগরতলায় ৬০ বছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি

আসামে প্রায় ৩ হাজার গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে
ফাইল ছবি: এএনআই

ভারী বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চল। গত দুই দিনে আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টি হয়েছে ত্রিপুরায়ও। রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় গত ৬০ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।  

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনে বন্যায় বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত আসামে ১২ জন ও মেঘালয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসামে প্রায় ৩ হাজার গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ৪৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাট।

চরম ভোগান্তিতে রয়েছে আসামের ২৮ জেলার প্রায় ১৯ লাখ মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে এক লাখ বাসিন্দা। রাজ্যের হোজাই জেলায় বন্যার্তদের বহন করা একটি নৌকা ডুবে গেছে বলে আজ শনিবার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ওই নৌকার ২১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তিন শিশুর।

বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে গুয়াহাটি ও শিলচরের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছে আসাম সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফোনালাপে মোদি রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

এদিকে মেঘালয়ের মৌসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪০ সালের পর থেকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তসংলগ্ন ত্রিপুরার আগরতলায়ও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। মাত্র ছয় ঘণ্টায় শহরটিতে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে আগরতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার কারণে সেখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে অরুণাচল প্রদেশে সুবর্ণসিরি নদীর পানি উপচে তলিয়ে গেছে নির্মাণাধীন একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ।

আরও পড়ুন